এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের ভাই কুতবেদিন গুলেনকে সাড়ে ১০ বছরের জেল দিয়েছে তুরস্ক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের মূলহোতা ছিলেন তিনি। তুরস্ক বলছে, তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য। এটা প্রমাণিত হওয়ার অভিযোগে সোমবার তাকে এ দণ্ড দেয় দেশটি। বার্তা সংস্থা আনাডোলু নিউজ এজেন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ডেনিজিল প্রদেশের কাছেই একটি জেলে কুতবেদিন গুলেন অবস্থান করলেও শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে, তার আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৫ই জুলাই তুরস্কে সরকার পতন চেষ্টার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ফেতুল্লা গুলেনকে সর্বপ্রথম এদরোগান অভিযুক্ত করেন।
কিন্তু ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত ফেতুল্লা গুলেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অপরদিকে, গুলেনের সংগঠনকে তুরস্কের সরকার ‘ফেতুল্লা টেরর অরগানাইজেশন’ (ফেতুল্লা সন্ত্রাসী সংগঠন) হিসেবে অভিহত করে। গুলেন সমর্থকরা একে উদ্ভট বলে বর্ণনা করেছেন। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ফেতুল্লা গুলেন ‘হিজমাত’ নামের একটি শান্তিপূর্ণ সংগঠন পরিচালনা করেন। ওদিকে, তুরস্ক চায় ফেতুল্লা গুলেনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া হোক। আর ওয়াশিংটন গুলেনকে তুরস্ক কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আঙ্কারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তুরস্কের মিডিয়ার খবর অনুসারে ফেতুল্লা গুলেনরা পাঁচ ভাই। এর মধ্যে মেসিহ, সিলাহ ও কুতবেদিন জীবিত আছেন। মারা গেছেন সেফুল্লাহ ও হাসবি। এ ছাড়া আছেন দুই বোন। তারা হলেন- নূরহায়াত ও ফজিলেত। ২০১৬ সালের সরকার পতন চেষ্টার আন্দোলনে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তুরস্কে। তবে, ফেতুল্লা গুলেনের ভাই-বোনদের মধ্যে শুধু কুতবেদিনকেই সেসময় গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তার দুই ভাতিজাকেও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।