এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : লেজার নিয়ে কাজ করে এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয় করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ফ্রান্সের তিন বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার সুইডিশ রয়াল একাডেমি অব সায়েন্স ৯০ লাখ ক্রোনার (১০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার) অর্থমূল্যের এ পুরস্কার ঘোষণা করে। পুরস্কারের মোট অর্থের অর্ধেক পাবেন মার্কিন বিজ্ঞানী আর্থার আসকিন এবং বাকি অর্থ ভাগাভাগি করে নেবেন ফ্রান্সের জেরার্ড মোরো ও কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড। সুইডিশ রয়াল একাডেমি জানায়, আর্থার আসকিন ‘অপটিক্যাল টুইজারের’ (চিমটা) উন্নয়ন করেছেন, যা ভাইরাসের মতো অতিক্ষুদ্র কণার কোনো ক্ষতি না করেই সেগুলোকে আঁকড়ে ধরতে পারে। অন্যদিকে জেরার্ড মোরো এবং ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড খাটো ও তীব্র লেজার পালস উন্নয়নে সাহায্য করেছেন, যা শিল্পকারখানা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯০৩ সালে প্রথম নারী হিসেবে মেরি কুরি পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার জয়ের পর এই ক্ষেত্রে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড হলেন মাত্র তৃতীয় নারী। গত ৫৫ বছরে তিনি একমাত্র নারী হিসেবে পদার্থে নোবেল পুরস্কার পেলেন।
সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যুগান্তকারী কাজের জন্য যৌথভাবে এ পুরস্কার পান যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি. অ্যালিসন ও জাপানের কিয়োটা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসুকু হঞ্জু। আজ রসায়নে এবং শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হবে। আর অর্থনীতির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে ৮ অক্টোবর। বিতর্কের কারণে চলতি বছর সাহিত্যে কোনো পুরস্কার ঘোষণা করা হবে না।
১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। তারও আগে ১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) অর্থ দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। সেই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।