এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চায় না চীন। হোয়াইট হাউসে নতুন প্রেসিডেন্ট চায় বেইজিং। তাই তাকে সরাতে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। মধ্যবর্তী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, বাণিজ্যে রেষারেষি, সামরিক টেক্কা, কূটনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা- সবদিক থেকেই উঠেপড়ে লেগেছে চীন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে দ্য হাডসন ইন্সটিটিউটে চীনের বিষয়ে প্রশাসনের নীতি সম্পর্কে ভাইস প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, বেইজিংয়ের এতসব অসৎ প্রচেষ্টার পুরোটাই বিফল যাবে বলেও জোর হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন। মাইক পেন্স বলেন, আমেরিকান ব্যবসা-বাণিজ্য, মুভি স্টুডিও, বিশ্ববিদ্যালয়, থিংকট্যাংক, বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক এবং স্থানীয়, প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় দফতরগুলোর ওপর ইতিমধ্যে প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। একনায়কতান্ত্রিক এ বামপন্থী দলের গতিবিধি নজরে রাখতে ‘ড্রাগনিফাই’ নামে একটি নজরদারি অ্যাপ তৈরির পরামর্শ দেন গুগলকে। তিনি বলেন, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, ২০১৮ সালের (মধ্যবর্তী) নির্বাচন এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অর্থাৎ আমেরিকান জনগণের মতামতের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে নজিরবিহীন প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, তার মানে এটা স্পষ্ট যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্ব সফল আর তাই ভিন্ন একটি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চায় চীন। পেন্স এদিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, আমেরিকার গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছে চীন। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে কথা বলেছেন, তারই সুর ধরে বলতে চাই, আমাদের আসন্ন (মধ্যবর্তী) নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন।’
তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে বিভাজন তৈরি করতে প্রাদেশিক দফতরগুলোকে কাজে লাগাতে চায় চীন। আর এ কাজে সফলতা আনতে সুপরিকল্পিতভাবে গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামিয়েছে বেইজিং। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে বাণিজ্য শুল্কের মতো বিষয়গুলো ব্যবহার করছে চীন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর শুল্ক আরোপের জন্য যে দিন নির্ধারণ করেছে, সেটি আসন্ন নির্বাচনে বড় একটি ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া তারা সরাসরি আমেরিকান ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।