এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : তুরস্কের গণমাধ্যম সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ১৫ জনের নাম আগেই প্রকাশ করেছে।
২ অক্টোবর খাসোগি সৌদি কনস্যুলেটে নিখোঁজ হন। একই দিন দুটি ব্যক্তিগত জেট বিমানে তারা ইস্তাম্বুলে আসেন। ২ ও ৩ অক্টোবর রিয়াদে ফিরে গেছেন কয়েক ধাপে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, কিলিং স্কোয়াডের ওই ১৫ জন সৌদি আরবের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সদস্য। অনেকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একান্ত আস্থাভাজন লোক। বৃহস্পতিবার ওই ১৫ সদস্যের পরিচয় প্রকাশ করেছে বিবিসি।
সালাহ মোহাম্মদ আল-তুবাইগি (৪৭): সৌদি আরবের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট। তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ান ইন্সটিটিউট অব ফরেনসিক মেডিসিনে ২০১৫ সাল থেকে ৩ বছর ময়নাতদন্ত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করার আগে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিলেন। তুবাইগিই খাসোগি হত্যার মূলহোতা। ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত জেট এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান।
মেহের আবদুল আজিজ এ মুত্রেব (৪৭): লন্ডনের সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা হিসেবে দুই বছর ধরে কর্মরত। তিনি গোয়েন্দা বাহিনীর একজন কর্নেল ছিলেন। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বিভিন্ন সফরেও তাকে দেখা গেছে।
আবদুল আজিজ মোহাম্মদ এম আলহাসায়ি (৩১): সৌদি রাজপরিবারে কর্মরত ফরাসি কর্মকর্তা। রাজপরিবারের নিরাপত্তা টিমের সদস্য। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রধান দেহরক্ষী হিসেবে তার সঙ্গে বহু সফরেও গিয়েছেন তিনি।
থার গালিব টি আলহারবি (৩৯): গত অক্টোবর মাসে এই নামের এক রয়্যাল গার্ডের সদস্যকে সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে লেফটেন্যান্ট পদে রিয়াদের ক্রাউন প্রিন্স প্যালেসে পদোন্নতি দেয়া হয়।
মোহাম্মদ সাদ এইচ আলজারানি (৩০): ২০০৭ সালের একটি অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তুরস্ক বলছে, বাণিজ্যিক বিমানে ইস্তাম্বুলে যান, ফেরেন এইচজেডএসকে২ জেট বিমানে।
খালিদ আয়েধ জি আলোটাইবি (৩০): ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, এ নামে পাসপোর্টধারী এক ব্যক্তি সৌদি রাজপরিবার অনুমোদিত তিনবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। তিনি বাণিজ্যিক বিমানে করে ইস্তাম্বুলে যান। রিয়াদে ফেরেন যাত্রীবাহী বিমানে চড়ে।
নাইফ হাসান আলআরিফি (৩২): ফেসবুকে সৌদি আরবের বিশেষ বাহিনী ইনসিগনিয়ার ইউনিফর্ম পরিহিত কুতাইবি নামের এই ব্যক্তির ছবি পাওয়া গেছে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স দফতরের কর্মকর্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত।
মোস্তফা মোহাম্মদ আলমাদানি (৫৭): সৌদি গোয়েন্দা সংস্থায় তিনি কর্মরত। ব্যক্তিগত জেট এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান এবং ৩ অক্টোবর বাণিজ্যিক বিমানে করে সৌদি ফেরেন।
মেশাল সাদ আলবোস্তানি (৩১): ফেসবুক পেজ অনুসারে, তিনি সৌদি এয়ারফোর্সের লেফটেন্যান্ট। রয়্যাল গার্ডের একজন দেহরক্ষী। যাত্রীবাহী বিমানে ইস্তাম্বুল এসে এইচজেডএসকে২ চড়ে রিয়াদ ফেরেন।
ওয়ালিদ আবদুল্লাহ আলসেহরি (৩৮): গত বছর তাকে সৌদি এয়ার ফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে পদোন্নতি দেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান।
মানসুর ওসমান আবাহুসাইন (৪৬): একজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ২০১৪ সালে স্থানীয় একটি পত্রিকার একটি নিবন্ধে তাকে জেনারেল ডিরেক্টরেট অব সিভিল ডিফেন্সের কর্নেল হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ফাহাদ শাবিব আলবালাউয়ি (৩৩): মেনোএম৩আয়ে অ্যাপ অনুসারে তিনি সৌদি রাজরক্ষী। এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান। রিয়াদে ফেরেন জেট এইচজেডএসকে১ চড়ে।
বদর লাফি আলওতাইবি (৪৫): মেনোএম৩আয়ে অ্যাপের তথ্যানুসারে তিনি সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার একজন মেজর। এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান এবং ফেরেন এইচজেডএসকে১ জেট বিমানে।
সাইফ সাদ কিউ আলকাহতানি (৪৫): মেনোএম৩আয়ে অ্যাপ বলছে, সৌদি যুবরাজের দফতরে কর্মরত তিনি। এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান। পরের দিন যাত্রীবাহী বিমানে ফেরেন।
তুর্কি মুশেরেফ আলসেহরি (৩৬): তার নির্দিষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়নি। তুরস্ক বলছে, তিনি এইচজেডএসকে২ চড়ে ইস্তাবুলে যান এবং ফেরেন এইচজেডএসকে১ জেট বিমানে।