এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ নির্মূল করার অভিযানে কুকুরের নাকই হয়ে উঠতে পারে একটি অস্ত্র। ব্রিটেনের ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় এমনই দাবি করা হচ্ছে।
গবেষকদের দাবি, অনেকে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলেও তাদের প্রাথমিক ভাবে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু কোন ব্যক্তির মোজার গন্ধ শুঁকেই কুকুর বলে দিতে পারে সেই ব্যক্তি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কিনা। তার ম্যালেরিয়ার কোনও লক্ষণ না থাকলেও কুকুরটি দেখিয়ে দিতে পারবে তিনি এই রোগে আক্রান্ত কিনা।
ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের প্রধান স্টিভেন লিন্ডসে বলছেন, ‘‘যদি ১০০০ লোকের মধ্যে একজনও ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট শরীরে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে হাজার জনের রক্ত পরীক্ষার দরকার হবে না এক্ষেত্রে।ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট শরীরে থাকলে একটি বিশেষ ধরনের গন্ধ বেরতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বা ত্বকের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে কুকুরের নাকই বলে দিতে পারবে কোন ব্যক্তি ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট নিয়ে ঘুরছেন।’’
তবে এর জন্য স্নিফার ডগকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়। সেই কাজটি করেই গাম্বিয়ার স্কুলের ছাত্রদের উপর গবেষণা চালিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এক দিকে ছাত্রদের রক্ত পরীক্ষা হয়েছিল, অন্য দিকে প্রশিক্ষিত কুকুরদের দিয়ে সেই ছাত্রদের মোজা শোঁকানো হয়েছিল। ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে পেরেছে স্নিফার ডগ।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রস্টেট ক্যান্সার, থাইরয়েড ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্নিফার ডগের ভূমিকা দেখা গিয়েছিল।