এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ইউভিআইটিস চোখের মধ্যস্তরের প্রদাহ। যেটি চোখের এক ধরণের রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হয়, চোখে ঝাপসা দেখা দেয়, ব্যথা হয় এবং চোখ লাল হয়ে থাকে। ইউভিআইটিস সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে অনেক সময় ব্যথা ছাড়াই শুধু চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে। তবে ইউভিআইটিসের কারণে চোখ লাল হয়, সেই সঙ্গে চোখ ব্যথা করে। আর এ ধরণের সমস্যা দেখা দিলে এবং ব্যথা তাড়াতাড়ি না কমলে দ্রুত চোখের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। এটি বিভিন্ন কারণে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
যেমন, ভাইরাস শিঙ্গলস, মাম্পস বা হার্পিস; কোন ছত্রাক হিস্টোপ্ল্যাসমোসিস; কোন পরজীবী টক্সোপ্ল্যাসমোসিস; শরীরের অন্য কোন জায়গা সম্পর্কিত কোন অসুখ আর্থ্রাইটিস; চোখে কোন আঘাত পেলে; রোগজীবাণু সিফিলিস। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আসল কারণ জানা যায় না। তবে আশা কথা হচ্ছে চোখের ডাক্তাররা চোখ ও অন্যান্য পরীক্ষা করে এ রোগটি সহজেই ধরতে পারেন।
ইউভিআইটিসের বিভিন্ন ধরণ: ইউভিআইটিসের বিভিন্ন ধরণ আবার বিভিন্ন ধরণ রয়েছ। যদি দেখা যায় চোখের কোন অংশে প্রদাহ হয়েছে, এর ওপর নির্ভর করে ইউভিআইটিস কোন ধরনের বুঝা যায়।
১. যদি দেখা যায় আইরিসের কাছাকাছি প্রদাহ হয়েছে, তা হলে এটিকে বলা হয় আইরাইটিস। আইরাইটিস সাধারণত হঠাৎ করে হয় এবং সারতে দুমাসও লেগে যেতে পারে।
২. আর চোখের মাঝামাঝি প্রদাহ হলে এটিকে বলে সাইক্লাইটিস। সাইক্লাইটিস চোখের পেশিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে চোখের লেন্সের ফোকাস করতে অসুবিধা হয়। এটি সারতেও কয়েক মাস লাগে।
৩. আবার যদি চোখের পেছনে প্রদাহ হলে এটিকে বলা হয় কোরয়ডাইটিস। কোরয়ডাইটিস আস্তে আস্তে দেখা দেয়। সারতেও সময় বেশ সময় লাগে।
এছাড়া, ইউভিআইটিস হলে গ্লুকোমা, ক্যাটারেক্ট এবং নেওভাস্কুলারাইজেশনের আশঙ্কা বাড়ে। যে কারণে রেটিনার এটি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তবে বিভিন্নভাবে এর চিকিৎসা হয়। স্টেরয়েড বা বিভিন্ন আইড্রপস ব্যবহারের পাশাপাশি প্রদাহ বেশি হলে ইনজেকশন বা ওষুধ খেতে হয়।