এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধা ‘হামাস’ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডোর লিবারম্যান।
বুধবার তিনি ইরসাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি এতে উল্লেখ করেন গাজা সংঘাতের কারণে এ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
বুধবার জেরুজালেমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যত দিন সম্ভব আমি সরকারের বিশ্বস্ত হয়ে কাজ করেছি। এখন আমি ব্যর্থ।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কাতার কর্তৃক গাজায় ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইসরাইল।
লিবারম্যান বলেন, ‘আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা আমি বহন করতে ব্যর্থ। কাতার থেকে স্যুটকেসে নেওয়া ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গাজা স্ট্রিপে গিয়েছিল। এসব অর্থ পাওয়ার পরে কী হবে? এটা সবই স্পষ্ট নয়।’
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ পরিবারগুলো ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অংশ নেবে। যারা গ্রেনেড ছুড়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে সীমান্তে যুদ্ধ করেছিল। এক কথায় বলেত পারি আমরা সন্ত্রাসীদের অর্থ প্রদান করছি।’
ইসরাইলের সেনাভর্তি বাসে হামাসের গাইডেড মিসাইল : ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের গাইডেড মিসাইলের আঘাতে ইসরাইলের সেনা বহনকারী একটি বাস ধ্বংস হয়েছে।
দখলকৃত গাজায় ইসরাইলি সেনাদের আগ্রাসনের জবাবে মঙ্গলবার হামাস ওই হামলা চালায়। খবর সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর।
হামলার পর হামাস মঙ্গলবার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে- বাসটিতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করছে এবং তাতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যাচ্ছে। গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরে এ ঘটনা ঘটে।
হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদ্নি আল-কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা ট্যাংক বিধ্বংসী একটি করনেট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলি সেনা বহনকারী বাসে হামলা চালায়। ওই বাসে থাকা সব সেনা মারা গেছেন বলেও হামাস জানিয়েছে।
কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, গত রোববার ইসরাইল গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের যে সাত সদস্যকে হত্যা করেছে, তার প্রতিশোধ হিসেবে সেনা বহনকারী বাসে হামলা চালানো হয়েছে।