এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : অভিবাসী ইস্যুতে বারবার ধাক্কা খাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একের পর এক আদালতে আটকে যাচ্ছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারী অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদানের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সান ফ্রান্সিকোর আদালত। নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে যুক্তি-তর্ক শেষে সোমবার সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারপতি জন টিগার সাময়িক এ স্থগিতাদেশ দেন। খবর বিবিসির।
গত মাসে মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে ট্রাম্প সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেন। নভেম্বরের শুরুতে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে তাদের আশ্রয় না দেয়ার এক আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসীভীতি ছড়িয়ে মধ্যবর্তী ভোটে ফায়দা তুলেছেন তিনি। ৮ নভেম্বর অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সব ভিনদেশি নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তাদের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপের এখতিয়ারও রয়েছে তার।
তাৎক্ষণিকভাবে নতুন এ নিয়মের বিরোধিতা করে নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগঠনগুলো। একে ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ উল্লেখ করে সান ফ্রান্সিসকোর আদালতের শরণাপন্ন হয় তারা। সংগঠনগুলোর দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে। সোমবার বিচারক জন টিগার ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার আগ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আদালতের স্থগিতাদেশের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক জয় পেল নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো।
ক্ষমতায় বসেই বেশ কয়েকটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এর বেশির ভাগই আদালতে আটকে গেছে। প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার এক মাসের মাথায় সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের আদালত সেটি আটকে দেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের করা আপিলও খারিজ করে দেন ওয়াশিংটনের নাইনথ সার্কিট কোর্ট অব আপিলস। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বছরের সেপ্টেম্বরে ড্রিমার্স (শিশুকাল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাসকারী) কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ওই ঘোষণার পর নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক সেসিন্ডারম্যানসহ আরও ১৫ জন ডাকা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের ঘোষণার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।