তথ্য পাচার এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের এক শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আদালত। ম্যাথিউ হেজ নামের ওই শিক্ষার্থীকে আবু ধাবির ফেডারেল কোর্ট অব আপিল মঙ্গলবার এ সাজা দেয় বলে জানিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। এ রায়কে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে চরম হাতাশাজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। ম্যাথিউ হেজ ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির শিক্ষার্থী। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র সংকান্ত নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণা করছিলেন সংযুুক্ত আরব আমিরাতেই।
৫ই মে তাকে দুবাই বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হেজের পরিবারের মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাঁচ মিনিটের কম সময় শুনানি চলে।
এরপরই রায় দেয়া হয়েছে। এ সময় তার আইনজীবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। গত অক্টোবরে উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে হেজকে অভিযুক্ত করা হয়। সেখানে গত ছয়মাস তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়।
শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত থাকা হেজের স্ত্রী ড্যানিয়েল তেজাদা জানান, আমি হতবাক। আমি জানি না কি করতে হবে। ম্যাথিউ পুরোপুরি নির্দোষ। এই ধরণের অবিচারের জন্য আমিরাত কর্তৃপক্ষের লজ্জাবোধ করা উচিত। আমি ম্যাথিউকে নিয়ে চিন্তিত। জানি না, তারা ম্যাথিউকে কোথায় নিয়ে যাবে, কি ঘটবে। আমাদের আতঙ্ক আরো বেশি বেড়ে গেছে।
এ রায়ের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পার্লামেন্টে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ রায়ে আমি গভীর হতাশ এবং উদ্বিগ্ন। আমরা এ বিষয়টি আমিরাতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করছি। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, রায়টি হতবাক এবং হতাশ করার মতো। মিত্ররাষ্ট্র এবং বিশ্বাসযোগ্য সহকারী রাষ্ট্রের কাছ থেকে এ ধরণের রায় লন্ডন আশা করি নি। আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ কিভাবে এই মামলাটি পরিচালনা করবে তার উপর ভিত্তি করে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার যে বিশ্বাসের স¤পর্ক গড়ে উঠেছে, তার প্রতিফলন ঘটবে। আমরা এই পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছি এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে আমি বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য প্রাচ্যের গবেষক হিবা জায়াদিন এ রায়ের প্রেক্ষিতে বলেন, ম্যাথিউয়ের এ রায় যথাযথ হয় নি। কেননা রায় যে প্রক্রিয়ায় হবার কথা ছিল তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কাছে কি প্রমাণ আছে আমরা তা জানি না। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমালোচকদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্ব জেনে গেছে, তারা শিক্ষাবিদদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
এরপরই রায় দেয়া হয়েছে। এ সময় তার আইনজীবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। গত অক্টোবরে উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে হেজকে অভিযুক্ত করা হয়। সেখানে গত ছয়মাস তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়।
শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত থাকা হেজের স্ত্রী ড্যানিয়েল তেজাদা জানান, আমি হতবাক। আমি জানি না কি করতে হবে। ম্যাথিউ পুরোপুরি নির্দোষ। এই ধরণের অবিচারের জন্য আমিরাত কর্তৃপক্ষের লজ্জাবোধ করা উচিত। আমি ম্যাথিউকে নিয়ে চিন্তিত। জানি না, তারা ম্যাথিউকে কোথায় নিয়ে যাবে, কি ঘটবে। আমাদের আতঙ্ক আরো বেশি বেড়ে গেছে।
এ রায়ের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পার্লামেন্টে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ রায়ে আমি গভীর হতাশ এবং উদ্বিগ্ন। আমরা এ বিষয়টি আমিরাতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করছি। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, রায়টি হতবাক এবং হতাশ করার মতো। মিত্ররাষ্ট্র এবং বিশ্বাসযোগ্য সহকারী রাষ্ট্রের কাছ থেকে এ ধরণের রায় লন্ডন আশা করি নি। আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ কিভাবে এই মামলাটি পরিচালনা করবে তার উপর ভিত্তি করে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার যে বিশ্বাসের স¤পর্ক গড়ে উঠেছে, তার প্রতিফলন ঘটবে। আমরা এই পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছি এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে আমি বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য প্রাচ্যের গবেষক হিবা জায়াদিন এ রায়ের প্রেক্ষিতে বলেন, ম্যাথিউয়ের এ রায় যথাযথ হয় নি। কেননা রায় যে প্রক্রিয়ায় হবার কথা ছিল তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কাছে কি প্রমাণ আছে আমরা তা জানি না। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমালোচকদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্ব জেনে গেছে, তারা শিক্ষাবিদদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।