এশিয়ান বাংলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আদালতের দুটি রায় আছে। এই দুই রায়ের প্রেক্ষিতে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা। এখন পর্যন্ত আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে সেটা হচ্ছে সাজা স্থগিত রাখার জন্য একটা দরখাস্ত করতে হয়। দরখাস্ত করার পর আদালত যদি মনে করে সাজা স্থগিত থাকবে যতদিন পর্যন্ত আপিল শুনানি না হবে।
তাহলে একজন নির্বাচন করতে পারবেন। যেহেতু সাজা স্থগিত রাখার দরখাস্ত দেয়া হয়নি সেহেতু আদালত আদৌ সাজা স্থগিত করবে কি করবে না সেটা এখনো জানা যায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত রায় না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। মঙ্গলবার সকালে আখাউড়ায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন ও মওদুদ আহমদরা পরিকল্পিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। সিইসি বিতর্ক হওয়ার মতো এমন কোনো কাজ করেননি। তিনি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করছেন। তাদের কথাগুলো অমূলক।
মনোনয়ন পাওয়ার পর গতকালই প্রথম নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন আইনমন্ত্রী। সকাল ১০টায় আখাউড়া রেলস্টেশনে তাকে বরণ করতে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রচুর নেতাকর্মী। এ সময় তার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করেন অর্ধশতাধিক পুলিশ। দমকল বাহিনী, এম্বুলেন্সও ছিল সেখানে। এই কর্মসূচি সফল করতে আখাউড়া পৌর শহরের প্রধান সড়কের মায়াবী সিনেমা হল থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সারাদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
আইনমন্ত্রী আখাউড়ার খড়মপুরে শহীদ কল্লা শাহ মাজার জিয়ারত করেন। পরে আখাউড়া পৌরসভা ভবনে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং মোটরস্ট্যান্ডে দলের এক কর্মসূচিতে যোগ দেন।