এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটে ব্রিফিং করার কথা গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান গিনা হাসপেলের। গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এ হত্যাকান্ড নিয়ে সিনেটে বক্তব্য রাখেন। তারা সিনেটরদের বলেন, খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স জড়িত থাকার সরাসরি কোনো প্রমাণ নেই। তবে সিআইএ বলছে, ওই হত্যা ঘটেছে ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশে। এ বিষয়ে সিআইএর হাতে প্রমাণ আছে। তারা আরো বলেছে, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকান্ড তদারকি করে সৌদি আরবের নাগরিক সাউদ আল কাহতানি। ওই সময় তার সঙ্গে বার্তা বিনিময় করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই ব্রিফিংয়ের বক্তব্য সিআইএর বিরুদ্ধে যায়।
তারা যখন ওই ব্রিফিং করছিলেন তখন সিনেট উপস্থিত ছিলেন না গিনা হাসপেল। এ ঘটনায় কংগ্রেসের অনেকে ক্ষুব্ধ হন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
২রা অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে প্রবেশের পর হত্যা করা হয় সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ওই হত্যার ‘সম্ভবত নির্দেশ’ দিয়েছিলেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সিআইএ তার রিপোর্টে এমনটাই বলেছে। এ ঘটনায় সৌদি আরবের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স জড়িত নন বলে জোর দাবি করেছে সৌদি আরব।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিআইএ’র তদন্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, সিআইএর তদন্ত সন্দেহাতীত নয়। ২০শে নভেম্বর ট্রা¤প জানান, খাসোগি হত্যাকান্ড স¤পর্কে ক্রাউন প্রিন্সের জানা থাকলেই সম্ভবত ভালো হতো। হয়ত তিনি জানেন, হয়তবা জানেন না।
অন্যদিকে সিআইএ’র তদন্ত মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন গিনা হাসপেল। এ অবস্থায় তিনি মঙ্গলবার সিনেট যাচ্ছেন। তবে তার মঙ্গলবারের ব্রিফিং নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নি সিআইএ।