এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : পরিকল্পনামন্ত্রী ও কুমিল্লা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমি হামলা-মামলা করে কাউকে হয়রানি করিনি। ২৭ তারিখের পর কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আমার ও আমার বড় ভাইয়ের নামে অনেক মামলা হয়েছিল। বিএনপির আমলে একটি রাতও আমি বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি। অনেকের গরুর ঘর থেকে তারা গরু নিয়ে গিয়ে পিকনিক করেছে, পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে এবং জমি থেকে ফসল কেটে নিয়ে গেছে। তারা ভালো মানুষ না। তারা আমাকে খুনের মামলায় এক নাম্বার আসামি করেছে। আমাকে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়েছে।
আগামী নির্বাচনে আমাকে নয়, উন্নয়নের মার্কা নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। বুধবার রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার কনকশ্রী মধ্যমপাড়াস্থ বাইন্না বাড়িতে আয়োজিত উঠান বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে একটা কথা বলে গেলাম, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করি নাই, মামলা করবো না। ২৭ তারিখ পর্যন্ত মামলা করবো না। ২৭ তারিখের পর কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি আবারও বলে গেলাম, জামায়াত হোক শিবির হোক, যে গোষ্ঠী হোক- এদের চৌদ্দ গোষ্ঠী পর্যন্ত শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। এদের কাছে সেইফ নাই দেশ। আমি আজকে বলে গেলাম- এরা এখানে থাকতে পারে, যেখানেই থাকে আপনারা খুঁজে দেখবেন। ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেখব। যদি ২৭ তারিখের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে না যায়, যদি আমাদের সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ না করে, না আসে- তাহলে ২৭ তারিখের পরে আর ছাড় নাই।’ মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার সহকর্মী হিসেবে সাহায্য করি। দেশকে এগিয়ে নিতে আজীবন কাজ করে যাব। পেরুল দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান এজিএম শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই উঠান বৈঠকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমএ হামিদ, লালমাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার, স্থানীয় ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, বিজয়পুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী এবং সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলাসহ স্থানীয় এলাকার দল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।