এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দলীয় মনোনয়ন পেলেন না দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল তার নির্বাচনী আসন চাঁদপুর-২-এ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। প্রথম দলীয় মনোনয়ন পেয়েও চূড়ান্ত মনোনয়নে মায়ার বাদ পড়ার খবরে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা। কেন বাদ পড়লেন সরকারের হেভিওয়েট এ মন্ত্রী। এর হিসাব নিকাশ কষছেন স্থানীয় ভোটাররা। মুখে মুখে আলোচনা, তবে কি ছেলেদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আর জামাতার সাত খুনে জড়িত থাকায় তার কপাল পুড়েছে। নাকি নিজের দুর্নীতির মামলার বিষয়টি বিবেচনা করেছে দলীয় হাইকমান্ড।
দুদকের মামলায় মায়ার বিরুদ্ধে যে ১৩ বছরের সাজা হয়েছিল, উচ্চ আদালত তাকে এই সাজা থেকে খালাস দেন। এ আসনে মনোনয়ন পাওয়া নূরুল আমিন রুহুল অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ শাখার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি থাকায় এরশাদ সরকার পতন আন্দোলনে তার নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল হয়। পরে তিনি গ্রেপ্তার হন। এলাকায় দলীয় ও নির্বাচনী রাজনীতিতে আসতে চাইলেও কথিত আছে, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাননি বলে তিনি এলাকার রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেননি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে লড়াই করেন। তবে তাতেও বাদ সাধেন মায়া। প্রকাশ্যে রুহুলের বিরোধিতা করেন তিনি। যে কারণে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও হতে পারেনি রুহুল। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেও তার পক্ষে মায়ার অবস্থান কেমন হবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন।