এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানে নতুন করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। তারা বলেছে, ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার এই সংগঠনের ভবিষ্যত নির্ভর করছে সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের ওপর। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডন অনলাইন।
শুক্রবার সার্কের ৩৪তম চার্টার ডে উদযাপনের এক অনুষ্ঠানের শুরুতে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তাহমিনা জানজুয়া। সার্ক আরবিট্রেশন সেন্টার ও সার্ক এনার্জি সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে যোগ দেন সার্কের সদস্য ও পর্যবেক্ষক দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সার্ক আরবিট্রেশন কাউন্সিল, সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, সার্ক এনার্জি সেন্টার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রধান ও প্রতিনিধিরা।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তেহমিনা জানজুয়া বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌম সমতাভিত্তিক নীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ওপর নির্ভর করছে সার্কের ভবিষ্যত। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধি ও উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নেয়া। এ সময় তিনি নতুন করে সার্ক সম্মেলন আয়োজনে তার দেশের প্রস্তুতির কথা জানান।
১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। ওই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে। কিন্তু আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস সহ আরো কিছু অভিযোগে এতে যোগ দেয়া বাতিল করে ভারত। প্রথমে তারা এমনটা করলে পরে বাংলাদেশ সহ আরো কয়েকটি সদস্য দেশ ওই সম্মেলনে যোগ দেয়া বাতিল করে। এই ধারায় যোগ দেয় আফগানিস্তান, ভুটান। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ওই সম্মেলন বাতিল হয়ে যায়। তৃতীয় বছরের মতোও ওই সম্মেলন পাকিস্তান আয়োজন করতে পারে নি। কারণ, এতে কার্যত ভেটো রয়েছে ভারতের। নিয়ম অনুযায়ী, সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সব সদস্য দেশের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর এমন একটি শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার নিয়ম রয়েছে।