এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : আর কয়েক মাস পর ভারতের জাতীয় নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রামমন্দির নির্মাণে ফের জোর দাবি নিয়ে সরব হয়েছে দেশটির হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো।
রামমন্দির তোলার মধ্যদিয়ে ‘রামরাজ্য’ গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। রোববার নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সমাবেশ থেকেও ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিল।
মঙ্গলবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে সমাবেশের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সমাবেশ দাবি জানানো হয়, প্রয়োজনে আইন করে রামমন্দির তৈরি করতে হবে। তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্যে নাম না করে মোদি সরকারকে নিশানা করেন আরএসএস নেতা ভাইয়াজি যোশী। তিনি বলেন, ‘যারা এখন ক্ষমতায় এসেছেন তারা যেন ভুলে না যান যে রামমন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি তারাই দিয়েছিলেন। এখন সময় এসেছে সেই দাবি পূরণ করার।’
বিজেপিকে নিশানা করলেও দলের নাম নেননি ভাইয়াজি। তিনি বলেন, ‘রামমন্দিরের জন্য কোনো রকম ভিক্ষা করছি না। দেশের মানুষ রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা চায়। এটা আমাদের আবেগের বিষয়।‘
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রামলীলা ময়দানে সমাবেশের জন্য জোরদার প্রচারণা চালায় ভিএইচপি। এদিন রামলীলার জমায়েতে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ হাজির হন। ভিড় এতটাই বেশি যে লালকেল্লার কাছেও জড় হন মানুষ। এর আগে গত মাসে একই দাবিতে অযোধ্যায় একটি কর্মসূচি পালন করে ভিএইচপি।
অযোধ্যা মামলা আপাতত দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সম্প্রতি একটি নির্দেশে বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে নতুন বেঞ্চ গঠন হবে। তারপর সেই বেঞ্চ ঠিক করবে কবে থেকে হবে বিতর্কিত রামজন্মভূমি মামলার শুনানি।
তারপরও শুনানির সময় এগিয়ে আনার জন্য একাধিক সংগঠনের তরফে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাতিল করে দেন প্রধান বিচারপতি। স্পষ্ট বলে দেন, শীর্ষ আদালতের শুধু একটি মামলা নিয়ে পড়ে থাকলেই চলবে না। সব মামলাই আদালতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, অয্যোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিন ভাগে ভাগ করার। একভাগ রামলালা, একভাগ নির্মোহী আখড়া ও একভাগ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। তার পরেই সুপ্রিমকোর্টে একাধিক সংগঠন ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানায়।