এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : বাঁশখালীতে হামলায় আহত জাপা নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের প্রচারণায় হামলা, ভাঙচুর, বাধা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবারও। প্রচারণার দ্বাদশতম দিনে নোখাখালীতে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমাবেশে হামলা, কুমিল্লায় বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বিভিন্নস্থানে প্রচারে বাধার অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা।
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে জানান, নোয়াখালী-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল-বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়ির চারপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নৌকার সমর্থনে নানা স্লোগানে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মানবজমিনের কাছে অভিযোগ করেন, আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এলাকায় থাকতে পারেন না। এমনকি আমাকে প্রচারণাও চালাতে দেয়া হচ্ছে না। একদিন শুধু প্রচারণা চালিয়েছি। সেখানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গতকাল বিকালে আমার বাড়ির চারপাশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অথচ আওয়ামী লীগ প্রার্থী পুলিশ প্রটেকশনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশই নেই।
বাঁশখালীতে জাপা প্রার্থীর সমাবেশে হামলা, গুলিদ্ধিসহ আহত ১৫
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর কর্মী সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার চাম্বল মাদরাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের অনুসারী নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
হামলায় কপিল উদ্দীন (৪২), নুনু মিয়া (২৯), হাসান (৪২), রশিদ (৩১), আজিজ আহমদ (৬১), মো. আমিন (৫১) শরিফ (৫৫), রাসেল (২২), মাহমুদ (৪১) আনোয়ার (৩৯) রেজাউল করিম (৪৭) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার বিকালে বাঁশখালী চাম্বল ইউনয়িন মাদরাসা সংলগ্ন বাজারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। এ নিয়ে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারী ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে চাম্বল মাদরাসার সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় চাম্বল মাদরাসার সামনে আটকে পড়া মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর গাড়ির বহরেও গুলি চালায়। এতে জাতীয় পার্টির ১৫-১৬ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে দুই জোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছেন শরিক দলের হেভিওয়েট দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আর মনোনয়ন না পেয়ে দলের নির্দেশে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
গাজীপুরে বিএনপির কারাবন্দি প্রার্থীর স্ত্রীর প্রচারে হামলা
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি কারাবন্দি ফজলুল হক মিলনের পক্ষে স্ত্রী শম্পা হকের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন কালীগঞ্জ থানা মহিলা দলের সভানেত্রী চামেলী হক, পূবাইল থানা যবদল নেতা সোহেল রানা, পলাশ রানা ও মেহেদী হাসান। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার পর ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচার ছেড়ে চলে যান তারা।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর স্ত্রী শম্পা হকের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করে সিটি করপোরেশনের মাজুখান বাজারে গণসংযোগে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলে। সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হলে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। হামলার বিষয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, বরং প্রচার কাজে থাকা যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে আটক করেছে। তারা হলেন- আওলাদ ও মাসুম সরকার। জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
পরে বিকালে নিজেরদের বাড়ির এলাকায় গিয়ে লিফলেট বিতরণ করে প্রচার চালিয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার সময় পুলিশ কাছাকাছি ছিল। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। গাজীপুর-৫ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
কুমিল্লায় বিএনপি প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, গাড়ি ভাঙচুর
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. ইউনুসের কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিনের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অধ্যক্ষ মো. ইউনুস সাংবাদিকদের জানান, তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ ওই আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির সামনে ৮/১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাড়ির গেইটে গুলিবর্ষণ করে। তিনি এ ঘটনার জন্য ওই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর লোকজনকে দায়ী করেন। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তিনি নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এবং তাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, ঘটনার খবর জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে, কে বা কারা কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
যশোরে তিন বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে জখম
বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, যশোরের শার্শা উপজেলায় বিএনপি’র কর্মিসভায় যাওয়ার অপরাধে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ তিন বিএনপি নেতাতে বেধড়কভাবে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে শার্শা উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৬৫), শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির (৪৬) ও বসতপুর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম (৪৫)কে বাড়ি থেকে ধরে চিহ্নিত অস্ত্রধারী ৬/৭ জন সন্ত্রাসী তাদের পিটিয়ে জখম করে।
আহতদের অপরাধ ছিল তারা গত বুধবার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির ডাকে ধানের শীষের কর্মিসভায় যোগদান করেছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি। শার্শা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, তিনজনকে মারপিটের ঘটনা আমার জানান নেই। তবে এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মধুপুরে ৬৮ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএনপি’র ৬৮ নেতাকর্মীর নামে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। গত ২০শে ডিসেম্বর মহিষমারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ফরমান আলী ফালু ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে মধুপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের নেদুরবাজারে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিসের সামনে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। অপরদিকে গত ১৭ই ডিসেম্বর উপজেলার জটাবাড়ী গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে জটাবাড়ী পশ্চিমপাড়া চেয়ারম্যানবাড়ী মোড়ে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর করে এবং নৌকা মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মামলা প্রসঙ্গে বিএনপি’র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম জানান, নেদুরবাজারে ওরা হামলা করে আমাদের দুইটি প্রাইভেটকার এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। ওই ঘটনায় আমাদের ৩/৪ জন কর্মীও আহত হয়েছে। উল্টো ওরাই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
গৌরীপুরে বিএনপি’র নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহের গৌরীপুর রায়গঞ্জ বাজারে বিএনপি’র নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহ-৩ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী এম. ইকবাল হোসাইন। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। প্রকৌশলী এম. ইকবাল হোসেইন অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দিনভর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষে রাতে স্থানীয় রায়গঞ্জ বাজারে জনসংযোগ শেষে পথসভা করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া নৌকা সমর্থক স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা করে আমার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালায়। এখন তারা উল্টো অপপ্রচার করছে।
ইকবাল দাবি করেন, এর আগে বোকাইনগর ইউনিয়নে আমার প্রচার মাইক এবং মইলাকান্দা ইউনিয়নে প্রচার মাইক বহনকারী অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে নৌকার সমর্থকরা।
এসব ঘটনা লিখিতভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান জুয়েল বলেন, বিএনপি’র লোকজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনা আড়াল করতেই তারা নিজেদের কেন্দ্র ভাঙচুরের নাটক করছে। অভিযোগের বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বিএনপি’র কেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাইনি। তবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগ পেয়েছি।
নাশকতার অভিযোগে কুড়িগ্রামে চার জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, নাশকতার অভিযোগে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ চার জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করে করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রুহুল আমিন হামিদি, তিলাই ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আইয়ুব আলী, সেক্রেটারি রমজান আলী ও জয়মনি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে দিয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন। তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে এখানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ১০/১২ জন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ত্রিশালে বিএনপি’র ৭৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ২
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ও ত্রিশাল প্রতিনিধি জানান, ত্রিশালে বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মানের মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি’র ৭৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল এই ঘটনায় পুলিশ উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদকসহ দুই বিএনপি নেতা আটক করেছে। থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নেয়া হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে ছাড়া বিনা কারণে কাউকে হয়রানি না করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা উত্তর জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ফুলতলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত ১৫ই ডিসেম্বর রাতে ফুলতলা থানায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার বেলা ২টার দিকে ফুলতলা এলাকায় ধানের শীষে গণসংযোগে বের হন। এরপর ফুলতলা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫ই ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা বাজারে ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এরপর রাত সোয়া ৯টার দিকে দামোদরে ৪নং গাড়াখোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৪নং গাড়াখোলা ইউনিয়ন কার্যালয়ে বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আবদুল জলিল বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মিয়া গোলাম কুদ্দুসকে আটক করে এ দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে ২ বিএনপি কর্মী আটক
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, শ্রীমঙ্গলে বিএনপি’র ২ কর্মী আটকের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ মিয়াকে বিরাহিমপুরের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ শহরের হবিগঞ্জ রোডের নূর ফুডস্ এর সামনে থেকে উপজেলা তাঁতীদলের সভাপতি আলমগীর সেলিমকে আটক করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।