এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : নির্বাচন কমিশনের সামনে নতুন এক পরীক্ষা। শুরু থেকেই একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করাটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সরকারের সঙ্গে নানা টানাপড়েন সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে আসে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন দাখিল করেন জোটটির প্রার্থীরা। রিটার্নিং অফিসারের কাছে বাছাইয়ে বাদ পড়ে এই জোটের শতাধিক প্রার্থী। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে লড়াইয়ে ফেরেন বেশির ভাগ প্রার্থী। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র সাতদিন আগে নতুন চ্যালেঞ্জে পড়েছে ইসি। আদালতের আদেশে প্রার্থিতা বাতিল বা স্থগিত হয়েছে প্রায় ১৫ প্রার্থীর।
বিএনপি’র মনোনয়নে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ।
জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন চার ব্যক্তি। হাইকোর্ট এ নিয়ে রুল জারি করে। একই সঙ্গে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতায় আপত্তি জানিয়ে ইসিতে দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এদিকে, নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই বলা হয়েছে জামায়াত নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কোনো আইন নেই। ইসি’র ওই অবস্থান আজ বদলাবে কি না সেদিকে নজর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যেসব আসনে প্রার্থিতা বাতিল হচ্ছে ওইসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। সেক্ষেত্রে আজ নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে তাও দেখার বিষয়।
তফসিল ঘোষণার আগে গত ২৩শে অক্টোবর সিইসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতকে নির্বাচন থেকে দূরে বিরত রাখার দাবি জানায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নির্মূল কমিটির নেতাদের বলেছেন, জামায়াতের সদস্য বা যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিদের স্বতন্ত্র বা জোটগতভাবে নির্বাচন করা থেকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় আইন নেই। বিদ্যমান আইনে কী করা সম্ভব তা কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বসে পর্যালোচনা করা হবে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের সিইসি’র বক্তব্যের কথা জানান। গত ৯ই নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে তিনদিনের মধ্যে কমিশনকে জানাতে হবে। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতারা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি আইনে নেই। কিন্তু কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যদি অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীকে নমিনেশন দেয়, তাহলে তো আমরা বাধা দিতে পারবো না। এ বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যাও নেই।