এশিয়ান বাংলা, সিলেট : ৬ বছর আগে মারা গেছেন ছাত্রদল নেতা শওকত। নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন। হঠাৎ করে সেই শওকত ভোটের মাঠে আলোচনায়। কারণ- এবারের নির্বাচনে সহিংসতা মামলায় আসামি হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে এই মামলায় আসামি হয়েছেন সিলেট বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। পুলিশ বলছে- মামলার বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সেটি বাদ দেয়া হবে।
২০১২ সালের ২২শে মার্চ সিলেট নগরীর উপশহরে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছিলেন সিলেট ছাত্রদলের নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত।
এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারকে। উপশহরের দিনার গ্রুপের কর্মী ছিল শওকত। নিজ দলের কর্মীদের হাতে তার খুন হওয়া নিয়ে সিলেট ছাত্রদলে তোলপাড় হয়।
গত রোববার সিলেটের কোতোয়ালি থানায় আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থী ড. একে আবদুল মোমেনের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় মামলা করা হয়। এ মামলার বাদী নগরীর নাইওরপুর মৌবন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. ফাহিম আহমদ হামীম। সিলেটের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে রেকর্ড করা মামলাটির নম্বর হচ্ছে ৩১। এ মামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা মাহমুদ হোসেন শওকতকে ২৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার মৃত তজম্মুল হোসেনের ছেলে শওকত। মামলার ১২০ জন আসামির মধ্যে অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট বিএনপির নেতারা।
মামলায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, চার কাউন্সিলর, তিন আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরাও রয়েছেন আসামি তালিকায়। মামলার আসামির তালিকায় সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন শামীম ও হুমায়ন কবীর শাহীন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদি, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম নাচন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া মামলায় মৃত ব্যক্তি আসামি থাকা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- এজাহার পেয়ে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেছে। তদন্তে সেটি বাদ দেয়া হবে।