এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : দেশজুড়ে চলছে গ্রেপ্তার অভিযান। নির্বাচনের একদিন আগেও সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিরোধী প্রার্থীদের কর্মী, সমর্থক ও তাদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। বিএনপির দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১১ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, সিলেট-৩ আসনে ২শ’ নেতাকর্মীকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী। শনিবার বিকাল ৪টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সিলেট-৩ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভীত হয়ে বর্তমান অবৈধ সংসদ সদস্য পুলিশ ব্যবহার করছেন। আমার নির্বাচনী এলাকার বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিক দলসহ অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগর থানায় ১৫টি মামলায় এ পর্যন্ত আমার ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্মীসমর্থকদের বাড়ি গিয়ে মা বোন ও তাদের বউদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের পর ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত যাতে তারা বাড়ি না ফেরে তেমন নির্দেশনা ও হুমকি দিচ্ছে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। ফিরলে তাদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপরই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, ওহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি ও ময়নুল ইসলাম মঞ্জুরসহ ২শ’ জনকে ওয়ারেন্ট ছাড়া অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শফি চৌধুরীর পক্ষে তার পুত্রবধূ কণ্ঠশিল্পী দিঠি চৌধুরী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিন আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন রিপন প্রমুখ।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহ জেলাব্যাপী পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সর্বত্রই এখন গ্রেপ্তার আতঙ্ক। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাব্যাপী পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ১৪২ জন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ৩১ জন জামায়াতকর্মী। ঝিনাইদহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে গত দুই দিনে ঝিনাইদহ সদর থানায় ৩৭ জন, হরিণাকুণ্ডুতে ৬ জন, শৈলকুপায় ২২ জন, কালীগঞ্জে ১৪ জন, কোটচাঁদপুরে ১৬ জন ও মহেশপুর উপজেলায় ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ৬টি হাতবোমা ও ২৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান। এদিকে ধানের শীষ প্রতিকের দুই প্রার্থী ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও ঝিনাইদহ-১ আসনের অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মুঠোফোন অভিযোগ করেন, ভোটের মাঠ ফাঁকা করার জন্য নিরীহ এসব ভোটারকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। রাতের বেলা পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক সঙ্গে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটার ও এজেন্টদের হুমকি দিচ্ছে ও গ্রেপ্তার করছে।
ফেনী প্রতিনিধি জানান, ফেনীর বিভিন্ন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তিন দিনে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে অনেকে পরোয়ানাভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার কন্ট্রোলরুমের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফেনী শহর ও জেলার ৬টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২০ জন পরোয়ানা এবং পাঁচজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ।
এদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ১০ জন, ছাগলনাইয়ার পাঁচজন, ফুলগাজীর তিনজন, পরশুরামের তিনজন, দাগনভূঞাঁর দুজন ও সোনাগাজীর দুজন রয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দি মনিরুল হক চৌধুরীর ১০ জন এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ওই প্রার্থীর সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগ্রামের বাড়িতে প্রবেশের সময় তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার জহিরুল ইসলাম, মনির হোসেন, মোহন, সুমন, আবদুস সাত্তার, বসর, লালমাই উপজেলার সিরাজুল ইসলাম, আক্তার, জামাল হোসেন, রুহুল আমিন।
বিএনপি প্রার্থী কারাবন্দি মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সদর দক্ষিণ থানার ১০/১২ জন পুলিশ বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় প্রার্থীর নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসন এলাকার এজেন্টগণ ভোটার স্লিপ ও এজেন্টের কাগজের জন্য বাড়িতে প্রবেশের পথে তাদের দেহ তল্লাশিসহ নানা প্রশ্নবানে আতঙ্কিত করে ফেলে। একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের ১০ জন এজেন্টকে আটক করে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বাড়ির সামনের সড়কের বিভিন্ন স্থানে ডিবি পুলিশ অবস্থান করছিল। তিনি আরো বলেন, এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাদের (প্রার্থীর) বাড়িতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এজেন্টদের কাগজ ও ভোটার স্লিপ নিতে আসা-যাওয়ার পথে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাধার সৃষ্টি করছে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতাসহ অন্যান্য মামলার ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো এজেন্ট কিংবা কাউকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে না।
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আলহাজ গোলাম মো. সিরাজের মালিকাধীন অভিজাত রেস্তোরাঁ ফুড ভিলেজে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবার রহমান হারেজসহ ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে তাদের গ্রেপ্তার হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় শুক্রবার রাতেই আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব পিয়ার হোসেন পিয়ার, গাড়ীদহ ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান, শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বিএনপি নেতা জাহেদুর রহমান টুলু, ফেরদৌস জামান, হাফিজার রহমান ও আব্দুর রহিম।
এরআগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আরো ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে রাতে এবং সোমবার রাতে পৃথকভাবে দুইটি মামলা হয়। দুইদিনে দুইটি মামলায় শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ওই মামলা দুইটি করা হয়। তবে, বিএনপির নেতাকর্মীরা এ মামলাকে সাজানো বলে দাবি করছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ-বিজিবি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ১৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার গ্রেপ্তারদের ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ কবীর হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, বরিশাল-১ আসনে দাঁড়াতেই পারছে না বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাড়িঘরে হামলা, পুলিশের হয়রানি, প্রতিপক্ষ নেতা একের পর এক আক্রমণে দিশাহারা বিএনপি কর্মীরা এখন এলাকা ছাড়ছেন। বৃহস্পতিবার ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে থাকা ১৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমানের ভাষ্য, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, জহির উদ্দিনের বাড়িতে পরিকল্পনা সভা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করা হয়েছে। খবর পেয়ে শতাধিক পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় দরজা খুলতে বললে জহির উদ্দিন রাজি হননি।
রাত দেড়টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে তিনি থানার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের আসতে বলেন। পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে জহির উদ্দিনের সাবেক একান্ত সচিব-২, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, গৌরনদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান শরীফ রয়েছেন।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের কচুয়া ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাহার আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল কাদলা ইউনিয়নের বইরগাঁও গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত কারাবন্দি সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলনের পক্ষে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন করেছিলেন।
কচুয়া থানার ওসি মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনে নাশকতা করতে পারে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি নেতা রাকিবুল ইসলাম বকুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পরোয়ানা থাকায় খুলনা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বকুলের সাংবাদিক সম্মেলেন করে ফেরার পথে জেলা পরিষদের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ফরিদগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি হারুনুর রশিদের বাড়িতে আবারো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। পুলিশ প্রার্থীর বাড়ি থেকে ১২ জনকে আটক করেছে। উপজেলার মান্দারখিল গ্রামে প্রার্থীর নিজ বাড়িতে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় প্রার্থী নিজ বাড়িতে ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় (বেলা ৩টায়) তিনি বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ রয়েছেন।