এশিয়ান বাংলা, ঢাকা : অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্যাটকো মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির করা হয়নি। তার পায়ে ফোঁড়া ওঠায় কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করতে পারেনি বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে গ্যাটকো মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল।
শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির না করে হাজিরা পরোয়ানা পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। এতে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার পায়ে ফোঁড়া হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির কোনো সুযোগ নেই।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৪শে জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ এ মামলার সব আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওইদিন এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
এর আগে গত ১০ই জানুয়ারি কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে গ্যাটকো মামলায় ১৬শে জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে হাজিরা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অন্য আসামিদের অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করতে বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে অন্য আসামিরা শুনানি শুরু করতে পারেন। এর বিরোধিতা করে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা তার উপস্থিতিতে শুনানি করতে চাই। তার অনুপস্থিতিতে শুনানি করলে আইন সম্মত হবে না। অন্য আসামির পক্ষে শুনানি শুরু হলে আইনের খেলাপ হবে।
আসামি পক্ষের অপর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির কোনো সুযোগ নেই।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, হাইকোর্ট মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। এরপর আদালত পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ২৪শে জানুয়ারি ধার্য করেন।
জরুরি অবস্থার শাসনামলে ২০০৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন। পরের বছর ১৩ই মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।