এশিয়ান বাংলা স্পোর্টস : মুস্তাফিজুর এবং মাহমুদুল্লাহ সাময়িক আশা দেখাচ্ছিলেন। ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে মুক্তির আশা। কিন্তু তারা দু’জন ছয় রানের ব্যবধানে আউট হলেন। বাংলাদেশ অলআউট হল কিউইদের প্রথম ইনিংস থেকে করা ১২ রান পেছনে। বৃষ্টির কারণে তিন দিনে নেমে আসা টেস্টে ওই ১২ রান ও ইনিংসে হারের লজ্জায় ডুবলো স্টিভ রোডসের শিষ্যদের।
দ্বিতীয় ইনিংসে মুস্তাফিজ করেন মাত্র ১৬ রান। মারেন দুটি ছক্কা। সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ ফিফটি করে ক্রিজে থাকায় বড় লজ্জা থেকে রেহায় পাওয়ার পথ তৈরি হয়। কিন্তু ফিজ ২০৩ এবং মাহমুদুল্লাহ ব্যক্তিগত ৬৭ রানে দলের ২০৯ রানে আউট হন। নবম উইকেটের পতন হয় দলের। ওই ২০৯ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংস থেকে দুই রান কম তুলে আউট হয় দল।
ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয় ঠেকাতে করতে হতো ১৪১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তোলে মাহমুদুল্লাহর দল। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান তামিম। এরপর মুমিনুল এবং সাদমান সাজঘরের পথ ধরেন। মিঠুন খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। সৌম্য ২৮ রান করে শেষ দিনের শুরুতে আউট হন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২১১ রানে অলআউট হয়। দুই ওপেনার তামিম-সাদমান পড়েন ৭৫ রানের জুটি। তারপরও ব্যাটিং বিপর্যয় হয় দলের। তামিম ৭৪, সাদমান ২৭ এবং লিটন ৩০ রান করে আউট হন। পরে অবশ্য বাংলাদেশ শুরুর ৮ রানে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারকে তুলে নেন। কিন্তু রস টেইলরের (২০০) ডাবল সেঞ্চুরি বাংলাদেশ দলের বোলারদের আর ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি। সঙ্গে হেনরি নিকোলাস সেঞ্চুরি করে আউট হন। কিউইরা ৬ উইকেটে ৪৩২ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। লিড দেয় ২২১ রানের।
কিউইদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ওয়াগনার নেন ৪ উইকেট। বোল্ট দখল করেন তিন উইকেট। এছাড়া সাউদি একটি এবং কলিন ডি গ্রান্ড হোম ও ম্যাট হেনরি একটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে জায়েদ নেন ৩ উইকেট। তাইজুল দুটি এবং মুস্তাফিজ এক উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াগনার আরো খতরনাক হয়ে ওঠেন। তিনি নেন পাঁচ উইকেট। বোল্ট ঝুলিতে পোরেন চারটি উইকেট।