এশিয়ান বাংলা ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তারিখ রোববার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এপ্রিল ও মে মাসে মোট সাত ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে যে বিষয়গুলো কাজ করবে সেগুলো হলো :
ভোটার সংখ্যা : প্রায় ৯০ কোটি ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্র দশ লাখেরও বেশি। এবার ভোট হবে ১১, ১৮, ২৩ ও ২৯ এপ্রিল এবং ৬, ১২ ও ১৯ মে। কিছু রাজ্যে ভোট হয় কয়েক ধাপে।
আয়ের উৎস :নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে তাদের আয়ের উৎস প্রকাশ করতে হবে।
মোদির নেতৃত্ব :নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই বিজেপি ২৮২টি আসনে জিতে নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়েছিল গতবার। বহু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করলেও মোদিই এখনও বিজেপির প্রধান ভোট সংগ্রাহক। বিরোধী পক্ষেরও টার্গেট মোদি।
কংগ্রেসের আশা :গত ডিসেম্বর থেকে ১৩৩ বছরের পুরনো দলটি শক্তি পুনরুদ্ধারের দিকে যেতে পারছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জয় পেয়েছে। তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় নতুন মাত্রা পেয়েছে দলটি।
মূল ইস্যু অর্থনীতি : মোদি সরকারের সময়ে শস্যের দাম পড়ে যাওয়ার ঘটনা কৃষকদের ক্ষুব্ধ করেছে। নোট নিষিদ্ধের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর সার্ভিস ট্যাক্স ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। ভাটা এসেছে রফতানি আয়েও। বেড়েছে বেকারত্ব। কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ঋণের দায়ে ডুবতে বসেছে। তাই এবারের নির্বাচনে অর্থনৈতিক ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রাধান্য পাবে।
নির্বাচনী এজেন্ডা : মোদির সরকার সরাসরি কৃষকদের ঋণ বা ঋণ মওকুফ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রাহুল গান্ধী তার দল জিতলে গরিবদের একটি নূ্যনতম আয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গ :ভারতের ১৭ কোটি মুসলিম, অনেকে মনে করেন, তারা অদৃশ্য সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তান ইস্যু :পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা নরেন্দ্র মোদিকে একটি শক্তিশালী ইমেজ দিয়েছে। হামলা করে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, হামলা হলে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে কোনো দ্বিধা করবেন না তিনি।
উত্তর প্রদেশ : উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশ জাতীয় রাজনীতিতেও বেশ প্রভাবশালী। এখান থেকে ৮০ জন যাবেন ভারতের পার্লামেন্টে। আবার ভারতে সামাজিকভাবে সবচেয়ে বিভক্ত রাজ্যও এটি।
সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন।