দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ উদাসীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে সরকারের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত
সরকারের মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যকে দুর্গত এলাকায় যেতে দেখা যায়নি। এমনকি ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দিতে দেখা যায়নি। সর্বপরি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের মধ্যে চরম উদাসীনতা কাজ করছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। আদালতের এজলাসেই এখন মানুষ হত্যা হয়। বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিনে-দুপুরে মানুষ হত্যার পর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার করে পরদিন ক্রসফায়ারে দেয়া হয়। রহস্যজনকভাবে মামলার বাদীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এসকল অস্বাভাবিক ঘটনা জনগণকে আতঙ্কিত করছে।
হজ কর্মকর্তা হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের হজে যাওয়ার বিষয়ে সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন সংক্রান্ত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তিনি একটি হজ দলের সরকারের একটি সার্বিক তত্ত্বাবধানের ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য একজন কর্মকর্তা হিসেবে যাচ্ছেন। যার প্রধান থাকবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই দলের একজন সদস্য। এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর, এটা প্রমাণ করে যে এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সংবিধানকে কোন তোয়াক্কা করে না। একই সাথে এই রাষ্ট্রকে তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন।
তিনি বলেন, সংবিধানের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। সেখানে আজকে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা কোন আইনে, কোন ক্ষমতাবলে তিনি একটি হজ ব্যবস্থাপনার তত্ত্বাবধান এবং নির্দেশনা প্রদানের জন্য একটি হজ ব্যবস্থাপনা দলের সদস্য হয়ে সৌদি আরব যাবেন। এটা চিন্তা করা যায় না। উনি যদি হজ করতে চাইতেন তবে বাদশার বিশেষ মেহমান হয়ে যেতে পারতেন। এই যে একটি আত্মমর্যাদা বিবর্জিত ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়, যার ফলে আমাদের দেশে নির্বাচন ব্যবস্থার আজকের এই পরিণত হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে একটি ব্যাখ্যা দাবি করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে এবং এখন এটি মহামারী আকার ধারণ করেছে। এডিস
মশাগুলোকে ধ্বংস করার জন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি উত্তরাতে থাকি সেখানে এরকম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি এটা বাস্তব।