গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকারের দুঃশাসন দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি অপশাসন ঘুষ লুটপাট অব্যবস্হাপনা দেশকে এক মারাত্মক অবস্হায় নিয়ে গেছে। জনগণ এখন আর প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টোদিকে সারাদেশে গণপিটুনীতে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সামাজিক অস্থিরতা প্রবল রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক সামাজিক অবক্ষয়জনিত কারণে একের পর এক বীভৎস ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশ। হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিং, আত্মহনন, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যার মিছিলে বেরিয়ে পড়ছে সমাজের এবং নৈতিকতার বিপর্যয় এবং অধঃপতনের ভয়ানক চিত্র। প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে এসব খুনের বেশিরভাগ ঘটছে পারিবারিক ও সামাজিক।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গনতান্ত্রিক বাম ঐক্যর সমন্বয়ক ও কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এম এ সামাদ। উপস্থিত ছিলেন জোটের শীর্ষনেতা সাম্যবাদী দল (এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সামছুল আলম, এসডিপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম (বাবু) সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু মাসুম, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, এসডিপির কেন্দ্রীয় নেতা সজল প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ সারাদেশে বিশেষ করে নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড্ডাসহ ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েক দিনে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি মহল পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে – পরিকল্পিতভাবে এমন গুজব রটাচ্ছে কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান, গণপিটুনি দিয়ে নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এর দায়ভার সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। সরকার নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। ইতোমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।