সাধারণ মানুষ জানতে চায় সম্প্রতি আমেরকিার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে দেয়া প্রিয়া সাহার বক্তব্যটি আসলে কার? প্রিয়া সাহার নিজের নাকি প্রধানমন্ত্রীর? বিষয়টি আগে সাধারণ মানুষের সামনে পরিষ্কার করা উচিত, এর সুরাহা করা উচিত। রোববার বেলা ১২টায় ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি দেশে বা রাষ্ট্রে আইনের শাসন না থাকলে তখন মানুষকে মেরে ফেললে তার জবাবদিহিতা থাকবে না। তখন ছেলে ধরার ঘটনা আর গণপিটুনি স্বাভাবিক বিষয়। কারণ সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
দেশে চলমান নানা গুজবের পেছনে বিএনপির হাত আছে বলে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, বিএনপি কখনো গুজবের রাজনীতি করে না। বিএনপি সব সময় সত্যের উপর ভিত্তি করে নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন গুজবকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থসিদ্ধির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশের মানুষ যখন মাথা কাটা গুজব, গণপিটুনি আর প্রিয়া সাহা, মিন্নিদের ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত তখন দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরণের দরপতন ঘটেছে। গত ৩০ জুন চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এই কয়েকদিনেই বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর দায়ভার এ অবৈধ সরকারকেই নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন,‘বাংলাদেশ যেভাবে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে, তা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এটিকে আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকার খুব খাটো করে দেখছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত মশা নিধনের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ লক্ষণীয় হয়নি। সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল সর্বোপরি যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই সাথে অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি দিয়ে তার পছন্দ মতো হাসপাতালে দেশে বা দেশের বাইরে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, যুবদল সভাপতি মাহাবুল্লা আবু নূর, সদিস্য সচিব মাহবুব হোসেন তুহিন, ছাত্রদল সভাপতি কায়েস মাহমুদ প্রমুখ।