প্রতি ঘণ্টায় ভর্তি হচ্ছেন ৪৫ জনের ওপরে। দ্রুত গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশের অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজধানীর প্রায় ঘরে ঘরেই এখন ডেঙ্গু রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আতঙ্কে আছেন প্রায় সকলেই। গতকাল ঢাকাসহ ৫০ জেলা থেকে ১২শ’ ৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬১১ জনে।
এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে অধিক সংখ্যক রোগী আসায় বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাঁই দিতে হিমশিম খাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আটজনের মৃতের খবর দিলেও এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। গতকাল ঢাকার বাহির থেকেও ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা যেটা দিচ্ছে, বেসরকারি হিসাবে তা কমপক্ষে চারগুণ বেশি হবে। হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সিট না থাকায় অনেক রোগীকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন রোগী ও তার স্বজনরা। ডেঙ্গু রোগীর স্বজনরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বাণিজ্য করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এজন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানাও করা হয়েছে গতকাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ জানিয়েছে।
গতকাল ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেছেন, চলতি বছরের মার্চে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে এবার ডেঙ্গু আউটব্রেক হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে আমরা পুরো ঢাকায় জরিপ করেছিলাম। ওই সময় এডিস মশার লার্ভা এবং কোথাও কোথাও অ্যাডাল্ট এডিস মশা দেখা গিয়েছিল। সেজন্য মার্চে সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করি। ২৮শে জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুরো ঢাকাই এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকার ১০০টি এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করে জানানো হবে কোন এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনে শয্যা বাড়িয়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও অধিক হারে নগরায়নের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে ডিজি মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রতি ঘণ্টায় ভর্তি হচ্ছে ৪৫ জনের ওপরে। চলতি জুলাই মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন। ঢাকার বাহির থেকেও দিন দিন রোগী বেশি আসছে। গতকাল ১২শ’ ৮৩ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৬১১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান মতে, জুলাই মাসে গড়ে প্রতিদিন ৩৯৪ জনের ওপরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা জেলা থেকে ১৩৬ জন, গাজীপুর থেকে ৯১ জন, গোপালগঞ্জ ৫ জন, মাদারীপুর ১৪ জন, মানিকগঞ্জ ১৬ জন, নরসিংদী ২ জন, রাজবাড়ী থেকে ৯ জন, শরীয়তপুর ৭ জন, টাঙ্গাইল ৮ জন, মুন্সীগঞ্জ ৮ জন, কিশোরগঞ্জ ৫৬ জন, নারায়ণগঞ্জ ১৮ জন, চট্টগ্রাম থেকে ১৪৮ জন, ফেনী ৫৯ জন, কুমিল্লা ৪৮ জন, চাঁদপুর থেকে ৭৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ জন, লক্ষ্মীপুর ১২ জন, নোয়াখালীতে ২৩ জন, কক্সবাজার ৭ জন, খাগড়াছড়ি ৪ জন, রাঙ্গামাটিতে একজন, খুলনায় ৯৬ জন, কুষ্টিয়া থেকে ৩৩ জন, যশোর ৪৪ জন, ঝিনাইদহ থেকে ১৪ জন, বাগেরহাট ৪ জন, সাতক্ষীরা ৮ জন, চুয়াডাঙ্গা থেকে ৪ জন, রাজশাহী থেকে ৫৩ জন, বগুড়া ৬০ জন, পাবনা ৩৮ জন, সিরাজগঞ্জ ৮ জন, নওগাঁয় ২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ জন, নাটোর একজন, রংপুর ৪৫ জন, লালমনিরহাট ২ জন, কুড়িগ্রাম ৩ জন, গাইবান্ধায় ৩ জন, নীলফামারী ২ জন, দিনাজপুরে একজন, পঞ্চগড় একজন, ঠাকুরগাঁও ৪ জন, বরিশাল থেকে ৪২ জন, পটুয়াখালী ৬ জন, ভোলা ৬ জন, পিরোজপুর ২ জন, ঝালকাঠি একজন ও সিলেট থেকে ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৯শে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এপ্রিলে দু’জন, জুনে দু’জন ও জুলাই মাসে চারজন মারা যান। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে চারগুণের বেশি হবে। ঢাকার বাহির থেকেও গতকাল চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছে ২৮ জনের ওপরে। এর মধ্যে শিশু হাসপাতালে ১২ জনের খবর পাওয়া গেছে।
বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯৩ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৬৯ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১০২ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৩৮ জন, বারডেম হাসপাতালে ৪৮ জন, বিএসএমএমইউতে ৬৯ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগ ৮৫ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ২৪১ জন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২০৭ জন, বিজিবি হাসপাতালে ৩৬ জন, কুর্মিটোলায় ২১৬ জন, রাজধানীর ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ জন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১১২ জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ৭৫ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৯৫ জন, ল্যাব এইডে ১২ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কাকরাইলে ৯০ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৮৬ জন, খিদমা হাসপাতালে ৩৩ জন, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ১০০ জন, এ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৪ জন, আদ্-দ্বীন হাসপাতালে ১২৫ জন, সালাউদ্দিন হাসপাতালে ৬১ জন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৮ জন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৬০ জন, বিআরবি হাসপাতালে ৩৬ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৩০ জন, আজগর আলীতে ৩০ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সাভারে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, আতঙ্ক
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, সাভারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মাহমুদ নয়ন (৩০) এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া হাজেরা নামের ১০ বছরের এক শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইতে) ভর্তি রাখা হয়েছে। নিহত নয়ন মাহমুদ জুয়েল ধামরাই উপজেলার কুল্লা গ্রামের জলিল উদ্দিনের ছেলে। এদিকে সাভারে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী প্রায় শতাধিক রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন। অনেকে আবার সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি আছে ৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী। নিহত নয়ন মাহমুদ জুয়েলের স্ত্রী জানান, তার স্বামী গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। গত শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজধানীর শহীদ সোরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে সোরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার দুপুরে রোগী মারা যায়। অন্যদিকে সাভারে প্রতিদিনই ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সাভার সরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বর্তমানে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্তে ৮ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় ল্যাবজোন হাসপাতাল, জামাল ক্লিনিক, নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। সাভার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. বেনজির আক্তার বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে উলাইল এলাকার বাসিন্দা ইকরামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সোরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু
ফরিদপুর প্রতিধি জানান, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের লোহারটেক বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত কদম বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাস (৪০) সোমবার ভোররাতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত সেলিম ঢাকার যাত্রবাড়ী কাঁচপুর এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজে মালিক ছিলেন। মাত্র ক’দিন আগে ঢাকা থাকতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর গত রোববার তিনি অসুস্থ অবস্থায় গ্রামের বাড়ি ফিরে যান। এরপর তার অসুস্থতা আরও বাড়ায় ওই দিন সন্ধ্যায় চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহিদ হাসান জানান, সেলিম বিশ্বাসের অসুস্থতা দেখে ডেঙ্গুর প্রভাব আঁচ করি। ফলে অসুস্থ রোগীটি দ্রুত আমরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। নিহত সেলিম বিশ্বাসের স্ত্রী মুন্নি আক্তার জানায়, তার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত ১০ দিন ধরে তার স্বামী ঢাকা শহরে জ্বরে ভুগছিল। গত রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর তার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে জানায়। নিহতের বড় ভাই আইয়ূব বিশ্বাস (৫০) বলেন, আমার ভাই যে ডেঙ্গু জ্বরে আত্রান্ত হয়েছে একথা আমাকে কেউ বলে নাই। রোববার বিকেলেই আমি প্রথম শুনেছি এবং তাৎক্ষণিক হাসপতালে নিয়েও বাঁচাতে পারলাম না।
ঢাকায় মারা গেলেন গাজীপুরের ডেঙ্গু রোগী
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবদুল করিম সরকার (৬০) নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আবদুল করিম সরকার কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোদাদিয়া গ্রামের মৃত হাসান আলী সরকারের ছেলে। জানা গেছে, গত বুধবার আবদুল করিম সরকার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। জ্বর, ডায়রিয়া, কালো পায়খানা ও ক্ষুধামন্দা নিয়ে শনিবার ভোরে ফের তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ভর্তির পর চিকিৎসক রোগ শনাক্তের জন্য বেশকিছু পরীক্ষা দেন। এরই মধ্যে তার শরীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে স্বজনরা ছাড়পত্র নিয়ে শনিবার রাতেই তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যান।
ডা. সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু