শোকের মাস আগস্ট এলে জঙ্গিবাদ ও নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীতে শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ আয়োজিত ‘মাসব্যাপী সংবাদচিত্র প্রদর্শনী’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আগামী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী। এ উপলক্ষে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শোকের মাসে ১৫ আগস্ট আমাদের চেতনায় শক্তি সঞ্চার করে আর এই শোকের মাস এলে জঙ্গিবাদ, নাশকতা, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। একদিকে আমাদের হারানোর বেদনা, আবার নতুন করে হারানোর সেই শঙ্কা আমাদের মধ্যে শিহরণ সঞ্চারণ করে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের’৭৫ পরবর্তীকালের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা হচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। আগস্ট মাস এলে বঙ্গবন্ধুর মতো আমাদের প্রিয় নেত্রী, যাকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আবর্তিত, তার বিপদের আশঙ্কা থাকে, অশুভ তৎপরতা জেগে ওঠে।’
নিজেদের সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবলীগকে সতর্কতার সঙ্গে প্রোগ্রাম করতে হবে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতি করে একটি দল, যারা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা এই হত্যাকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, পেছন থেকে মদত জুগিয়েছে, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে। ইনডেমনিটি আইন জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা কারা? জিয়াউর রহমান। ইতিহাস আজ এ কথা বলে যে, এ দেশে রাজনীতিতে হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যের নায়ক কারা? যারা খুনিদের সাহায্য করে তারা একই অপরাধে অপরাধী।’
বাংলাদেশের উদার রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা জানেন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল, শেখ হাসিনা জানেন, দেশের জনগণ জানেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে কারা ছিল। শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। রাজনীতিতে এতো ট্র্যাজেডির পরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, সুশাসনের স্বার্থে আমার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক রাখতে চাই।’
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভুয়া জন্মদিন পালন করলে আপনাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসম্পর্ক করা কঠিন হবে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।