২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে দিল্লি থেকে অন্তত ৪৮৯ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এর মধ্যে ৪৮০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে কোনো অবৈধ রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসী আটক হয়নি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে এমনটা জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সমপ্রতি ভারত থেকে এক বছরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসী অপসারণের দাবি জানিয়ে জনস্বার্থে একটি মামলা (পিআইএল) দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। মামলায় বলা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খণ্ডিত হচ্ছে এবং অপরাধী ও সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রম বেড়ে গেছে। মামলাটির শুনানিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট।
ওই নোটিশে সাড়া দিয়ে আদালতে গত দুই বছরের অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সাল থেকে প্রত্যেক জেলায় অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিযান চালিয়ে আসছে দিল্লি পুলিশ বিভাগ। এসব অভিযানে ২০১৬ সালে ২৪১ জন, ২০১৭ সালে ১৮৯ জন ও ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৫০ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দেশ থেকে সকল অবৈধ অভিবাসী দূর করার নীতিমালা বাস্তবায়ন করছে। আসামে শুরু হয়েছে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা। দিল্লি পুলিশের এই অভিযান কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিমালাকে আরো শক্ত করে তুলছে। তবে বিরোধী দল ও সমালোচকরা বিজেপির নাগরিক পঞ্জিকার তীব্র সমালোচনা করছেন। বলছেন, এতে ভারতে কয়েক প্রজন্ম ধরে বাস করা ব্যক্তিদেরও অভিবাসী হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। এটা অনৈতিক ও অবৈধ।