বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কী বাকশাল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি কী একদলীয় শাসন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি ছিলো গণতন্ত্র। পাকিস্তানীরা এদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়নি। সে কারণে তারা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো। আজকে পাকিস্তানিদের মতো, ইয়াহিয়া খানের মতো, টিক্কা খানের মতো আচরণ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা জনমতকে প্রতিফলিত হতে দিচ্ছেন না। তাই ভয়ে রাতের অন্ধকারে মিডনাইট নির্বাচন করছেন। এই গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সবার আশা-ভরসার স্থল হচ্ছে উচ্চ আদালত। সেই আদালতের রায়ে গোটা জাতি হতবাক হয়েছে, হতাশ হয়েছে। আমাদের আশ্রয়ের জায়গা কোথায়? এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের মতো বিচার বিভাগকেও সরকার দলীয়করণ করেছে। বর্তমান সরকার অনির্বাচিত বলেই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি বলেন, ডেঙ্গু হচ্ছে, কিন্তু এটা মোকাবিলার খবর নাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। নিজেরা বাঁচবেন, জনগণ মরুক ডেঙ্গুতে, বন্যায় ভেসে যাক, জলোচ্ছাসে ভেসে যাক- কোনো পরোয়া নেই সরকারের। কারণ তারা তো দিনের আলোয় ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদেরকে রাতের অন্ধকারের নির্বাচনে জিততে হয়। এই ধরণের সরকার জনগণের প্রতি দায়িত্ব থাকবে কেন, জবাবদিহিতা থাকবে কেন? থাকতে পারে না।
শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি কাকরাইলে নাইটেঙ্গল রেস্তোরা পর্যন্ত গিয়ে আবার কার্যালয়ে ফিরে আসে। মিছিলে রিজভী ছাড়াও বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।