মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড.শাহদীন মালিক বলেছেন, সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি জনগণকে মানবাধিকারসহ গুম নির্যাতন বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলার আহবান জানান। তা না হলে দেশে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে গেলে কেউ রুখে দিতে পারবে না বলে সর্তক করে দেন তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিন আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, জোর্তিময় বড়ুয়া, সাজ্জাদ হোসেন, নূর খান মিল্টন। নারী অধিকার কর্মী শিরিন হকের সঞ্চালনা করেন। তিনি মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির বক্তব্য তুলে ধরেন।
এদিকে জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদের বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক প্রতিবেদনকে অবাস্তব বলে মন্তব্য করেন ড.শাহদীন মালিক। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে যে অবস্থা রয়েছে তাদের আমরা বিন্দু মাত্র আইনের সুরক্ষা পাচ্ছি না। আশার কথা দেশে এসব বিষয়ে কথা বললেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে বিদেশে এনিয়ে কথা বলা শুরু হয়েছে। আইনে একজনের সুরক্ষার কথাতো সোয়াশ বছর অগেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কই এর বাস্তবায়নতো হচ্ছে না। আইনে সংবিধানে সব কিছু হচ্ছে। কিন্তু দেশে এব্যাপারে প্রতিকার পাচ্ছি না। কিন্তু দেশের বাইরে এই প্রথম একজন আইন মন্ত্রীকে ঠিকই জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে-এটাই এখন একটু ভরসা। দেশের কিছু হচ্ছে না। এখন বিদেশে যদি কিছু হয়। সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের গৃহযুদ্ধেও প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ওইসব দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। জনগনের গড় আয় আমোদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মানবাধিকার ছিল নাবলেই আজ ওইসব দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এদেশগুলি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবার আগে নির্যাতন দিয়েই শুরু করেছিল। বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে জবাবহিতিা না থাকার কারণে এমন পরিনতি হয়েছে। এটা হচ্ছে আসলে অকার্যকর রাষ্ট্রে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। উন্নয়ন একদম বাজে কথা। লিবিয়া, সিরিয়া-এদের গড় আয় আমাদেও চেয়ে ত্রিশগুন বেশি ছিল। এখনতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যখন আইন শৃংখলা বাহিনী জবাবদিহিতার উর্ধ্বে উঠে যায় তখনই এমন হয়।