ভারতীয় সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে কাশ্মিরকে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, সোমবার সেই ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই এর আওতায় থাকা ৩৫/এ ধারাও বাতিল হয়ে গেছে। এই ধারায় কাশ্মিরবাসী বিশেষ সুবিধা ভোগ করতো।
কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও সেখানকার বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ণ করার দিনটিকে ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসের ‘সবথেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন’ আখ্যা দিয়েছেন মেহবুবা মুফতি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মির দুই জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে থাকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হলো।’
৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার পর কাশ্মিরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলে নতুন করে সেখানে সেনা সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। মেহবুবা অপর এক টুইটে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের জন্য এমন সিদ্ধান্তের পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট। জম্মু-কাশ্মিরের মানুষকে জঙ্গিবাদে ঠেলে দিয়ে এর দখল নিতে চায় তারা। কাশ্মিরিদের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ভারত ব্যর্থ হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকরাও মনে করেন, ব্যাপক মাত্রায় সামরিকায়ন, নিরাপত্তা তল্লাশির সূত্রে হওয়া নির্বিচার হয়রানি ও স্বশাসনের অধিকার ক্ষুণ্ন করার মতো বিষয়গুলো স্থানীয়দের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ জাগিয়ে তুলছে। তাদের ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর দিকে। তার মধ্যে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে স্বায়ত্তশাসনের আনুষ্ঠানিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হলো।