বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বলছে দেশে জন্য তারা উন্নয়ন করছে, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। কিন্তু একথাটিও প্রমানিত যে এসব জনগণকে ভুল বোঝানোর একটি মিথ্যে কৌশল হিসেবে বলা হচ্ছে। সরকারি মতে, উন্নয়নের যে পরিসংখ্যান তারা দিয়েছে তা সঠিক নয়। এর সবচেয়ে বড় প্রমান, এখানে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে না। সরকারি খরচ বাড়ছে। এই খরচ তারা জোগাড় করছে জনগণের ট্যাক্সের মাধ্যমে। ব্যাংকে যারা টাকা রাখছেন তাদের টাকাও কেটে নেয়া হচ্ছে। ফিক্সড, সেভিং একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে।
এভাবে সামগ্রিকভাবে দেশে অর্থনৈতিক এক বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নতুন নির্বাচন চাইছি। কারণ এভাবে তারা দেশের অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদী সামাজিক ক্ষতি করছে।
বুধবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তিতুমীর সড়কস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ঈদ উপলক্ষে সারা দেশে প্রচুর সংখ্যক পশু কুরবানি করা হয়ছে। এ পশুর চামড়া লেদার ইন্ড্রাস্টিতে বড় ধরণের ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত কোন নীতি না থাকায় এবং সিন্ডিকেট থাকায় এবার পশুর মালিকরা-জনগণ প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একারণে ক্রেতা না থাকায় দেশের বহু জায়গায় চামড়া মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে।
বিএনপি’র আমলে চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে ঋণ দেবার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে চামড়া নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শেষ মুহূর্তে বলা হচ্ছে যে, চামড়া রপ্তানি করা সম্ভব কিন্তু সে সময় এখন পার হয়ে গেছে। জনগণ ক্ষতির শিকার হয়ে গেছে। এসবের কারণ এই সরকার গণবিচ্ছিন্ন সরকার। কোথায় জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলো, কোথায় ইন্ড্রাস্টি ক্ষতির শিকার হলো, সেই খবর সরকার রাখে না, এনিয়ে তাদের মাথাব্যথাও কথনোই ছিলনা, এখনো নেই। সেই কারণেই তাদের সিন্ধান্ত গণবিরোধী। যা দেশের ক্ষতি করে।
এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস চৌধুরী , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ছাত্রদলের নেতা কায়েসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।