গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে থেকেই কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বন্দি রয়েছে কাশ্মিরের বাসিন্দারা। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জনশুন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। গত ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় ভারতীয় বাহিনীর ওপর আত্মঘাতী হামলার পর তৃতীয় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় দুই দেশ।
কাশ্মিরের সায়ত্ত শাসন বাতিলের প্রতিবাদে এর আগে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। পরে আর এক বৈঠকে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সব সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, কাশ্মিরের সহিংসতা থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চায় ভারত। তিনি বলেন, এমনকি ভারতীয় নাগরিকেরাও এখন কাশ্মিরে ভারতের ‘অবৈধ’ পদক্ষেপের সমালোচনা করছে।
কুরেশি বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করবে ভারতের সিদ্ধান্ত ভুল। তিনি বলেন মোদির সিদ্ধান্তে হুরিয়াতসহ কাশ্মিরের অন্য নেতাদের এক জায়গায় দাড় করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কাশ্মিরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভারতকে কারফিউ তুলে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।