ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন যে- ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত কাশ্মিরের ‘অতীত গৌরব’ ফিরিয়ে আনবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন ভারতের উন্নয়নে কাশ্মির ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখবে। দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া বক্তব্য এসব দাবি করেন মোদি। তবে গত সপ্তাহ থেকে কাশ্মিরে চলতে থাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা বা অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে কাশ্মিরের মানুষকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে বক্তব্যে কোনো কথা বলেননি মোদি।
কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে তার সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন বলে দাবি করেন মোদি।
অন্যদিকে ১৪ই অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক ভাষণে ভারতের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। কিন্তু পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনার পরও মোদি তার বক্তব্যে ইমরান খানের মন্তব্যের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
বরং ভারতের অভ্যন্তরে যারা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সমালোচনা করছে, তাদের সমালোচনা করে মোদি দাবি করেন যে তারা ‘রাজনীতির খেলা’ খেলছেন। মোদির দাবি,‘আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমার কাছে আমার দেশের ভবিষ্যতই সবার আগে।’
এদিকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশ্মির সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সেখানে টেলিফোন, মোবাইল বা ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। পাশাপাশি মানুষ যেন বিক্ষোভ না করতে পারে সেজন্য অনেকটা কারফিউ’র মত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যেও শুক্রবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের শ্রীনগরের একটি এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্র : বিবিসি।