১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান।
মেজর জেনারেল আসিফ বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে ভারত কাশ্মির থেকে দৃষ্টি সরাতে হামলা চালাতে পারে। আর আমরাও যেকোনও হামলা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’ তিনি বলেন, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির ইস্যুতে দুই দেশ এখন পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি বলেন, দেশটির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাশ্মির নিয়ে বিশেষ একটি দল গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাশ্মির ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিশ্বের প্রত্যেকটি দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়া হবে যেন তারা বৈশ্বিকভাবে এই বিষয়টিকে তুলে ধরতে পারে।’
জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের প্র্রেক্ষাপটে এরইমধ্যে চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠক কাশ্মির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললেও নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দিতে সম্মত হয়নি সদস্য রাষ্ট্রগুলো। পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে বেশিরভাগ সদস্যই কাশ্মির সংকটকে ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে। তবে শাহ কোরেশি দাবি করেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর পর নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির নিয়ে কথা হয়েছে। বিশেষ করে ভারত যখন এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে তখন এটা আশাব্যাঞ্জক।