নিজেদের ভুলের রাজনীতির চোরাবালিতে বিএনপি আটকে আছে। তাদের দেখলে মনে হয় শিল্পী জয়নুলের গরুর গাড়ির মতো আটকে আছে। শনিবার বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নেতিবাচক, ধ্বংসাত্বক ও হত্যা-খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতিসহ জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি বাংলাদেশ আপনারাই শুরু করেছিলেন। পাঁচ বার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করে দুর্নীতির কথা বলেন। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফেলছেন আপনারা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে, এখনো বাতাসে চক্রান্তের গন্ধ আছে। রক্তের গন্ধ আমার পেয়েছি বারে বারে। আমরা জানি তাদের প্রাইম টার্গেট এখনো বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যিনি দেশে- বিদেশে সমাদৃত প্রশংশিত জনপ্রিয়, জন নন্দিত নেতা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনার প্রসংশা শুনলে আপনাদের গাত্র দাহ শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণের পছন্দ হলেও বিএনপির সেটা পছন্দ নয়।
আজকে ফখরুল ইসলাম সাহেব যখন বলেন বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করতে পারিনি। এটা তাদের দুর্ভাগ্য। তারা তো দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেউলিয়া হয়ে গেছে তাদের নেতৃত্ব। দুর্ভাগ্যের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন হয়নি এ ধরণের কথা, এ ধরণের বুলি ফাঁকা কথা। এ ধরণের অবাস্তব বক্তব্য তারাই দিতে পারে যাদের রাজনীতি, আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে।
আওয়ামী লীগ তাদের শূন্য করে দিয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনি নির্বাচিত হয়েও নিজের আসন শূন্য করে দিয়েছেন। আপনি তো শূন্য হবেনই। যিনি নিজের আসন শূন্য করে দেয় তিনি কত বড় শূন্য। তিনি ফাঁকা বেলুনে অবস্থান করছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সমাবেশের আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।