কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা টেকনাফের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত বলে দাবি করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের ‘ধরতে’ টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে গেলে পুলিশের সঙ্গে এই কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডুর সব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও একই জেলার রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। তারা দু’জনই টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
এদিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যুবলীগ নেতা ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে সেখানে অভিযান চালাতে যান।
ওসির দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুর শুক্কুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
ওসি আরও জানান, শনিবার ভোরে তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।