কাশ্মীর ইস্যুতে তিন দফায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভারত তাতে আমল না দিয়ে পাল্টা কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়েছে। এরপর প্রথমবারের মতো আজ সোমবার মুখোমুখি আলোচনায় বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে কাশ্মীর ইস্যু অবশ্যই আলোচিত হবে। ফ্রান্সে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের মধ্যে এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বিকাল সাড়ে চারটায়। এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদি আরো তিনজন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আজ সাক্ষাত করবেন। তারা হলেন সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল ও চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা। এ ছাড়া তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের দুটি সেশনে অংশ নেবেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি অবশ্যই ট্রাম্প ও মোদির আলোচনায় স্থান পাবে। এ বছর এই দুই নেতার এটা হবে দ্বিতীয় সাক্ষাত। এর আগে জাপানের ওসাকা নগরীতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে তারা সাক্ষাত করেছিলেন। তবে জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের অবস্থানের পর এটাই হবে তাদের প্রথম বৈঠক। ওদিকে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা টেলিকনফারেন্সে বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে অবশ্যই আঞ্চলিক প্রভাব আছে এর। এর প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক উত্তেজনাকে কিভাবে প্রশমিত করবেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাইতে পারেন ট্রাম্প।
কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে তিনবার মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবারই তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত। ভারত বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক শিমলা ও লাহোর চুক্তির অধীনে। এক্ষেত্রে তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতা অগ্রহণযোগ্য। রোববার সন্ধ্যায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় স্থান পেয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তাদের প্রথম সাক্ষাত।