সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজকে ফোন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার রাতে ফোনে তাকে ভারত ‘দখলীকৃত কাশ্মীরের’ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। ৫ই আগস্ট ভারত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর সৌদি আরবে এটা ইমরান খানের দ্বিতীয় ফোনকল। এ সময় তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সকে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে আস্থায় আনার চেষ্টা করেন এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ফ্রান্সে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করার কয়েক ঘন্টা পরেই ইমরান খান ফোন করেন ক্রাউন প্রিন্স সালমানকে। ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে থাকার কথা বলেছে। এতে কাশ্মীর বিরোধে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ আগেই প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি কমবেশি আগের সেই অবস্থানেই আছেন।
নরেন্দ্র মোদিকে পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর সঙ্কট ভারত ও পাকিস্তানই সমাধান করতে পারে। কিন্তু আমি তো এখানে আছি। গত রাতে আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী (মোদি) বাস্তবেই মনে করেন, পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলে, আমি নিশ্চিত যে, তারাই একটা কিছু করতে সক্ষম হবে এবং তা হবে অনেক ভাল কিছু।
ওদিকে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে ফোনে কথা বলার আগে সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান খান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে ঐতিহাসিক ভুল করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, এখন এটা হলো কাশ্মীরি জনগণের সামনে ঐতিহাসিক সময়। ভারতের কাছ থেকে বহু দশকের স্বাধীনতার স্বপ্ন অর্জনের সময় এটা তাদের। ইমরান খান বলেন, তিনি কাশ্মীরিদের একজন দূত হয়ে কাজ করবেন। প্রতিটি ফোরামে তুলে ধরবেন কাশ্মীর ইস্যু। প্রতি সপ্তাহে কিছু সময় বের করে কাশ্মীরিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি।