রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক অবস্থান থেকে সরকার এক চুল পরিমাণ ও সরেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বলেন, উম্মাদ হয়ে বিএনপি নেতারা এখন নতুন ইস্যু খুঁজছে। সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা ভর করেছে। দু’একদিন সেখানে গিয়ে তারা ফটোসেশন করলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তাদের কোন ভূমিকা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের ইকোনমিক, ট্রুরিজম, সামাজিক সহ অন্যান্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিএনপি মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা বললেও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তারা এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভর করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উখিয়া-টেকনাফে আমাদের জনসংখ্যা চার লাখ আর রোহিঙ্গা ১১লাখ৷ দু’বছর থেকে সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তে বারবার উস্কানি দিয়েছে। আমাদের নেত্রী বারবার সতর্ক করেছেন, এদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আগের যেকোন সময়ের থেকে বেশি দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না। কেন চাই না, তার একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। এটা নিয়ে যারা কাজ করে তারা এটা ভালো জানে। মিয়ানমার সরকারের ওপর প্রেসার আগের থেকে অনেক বেড়েছে৷ তাই ভেতরে যাই থাক এখন তারা এদের ফিরিয়ে নেয়ার মুখে কথা বলছে, এটা শেখ হাসিনার সরকারের সফলতা।
কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি নেত্রী দেড় বছর থেকে দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।কিন্তু বিএনপি নেতারা দেড় মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেনি৷ এখন বিভিন্ন ইস্যুতে ধোঁয়া তুলে বিএনপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে৷
১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের সাথে বিএনপি জড়িত দাবি করে এসময় আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে বহুদিন থেকে একটি প্রশ্ন করছি, কিন্তু তার জবাব আজও পায়নি। জিয়াউর রহমান যদি ১৫ আগস্টের সাথে জড়িত নাই হতেন তিনি খুনিদের বিচারেরর পথ কেন রূদ্ধ করেছিলেন?
তিনি আরও বলেন, এখানেই আপনাদের সংশ্লিষ্টতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এ কথা আপনারা কখনও স্বীকার করেন না। যেখানে ২০১১ সালে আমাদের আদালতে একজন মার্কিন রাইটার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন: জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। তিনি ফারুক রশিদের কনভার্সেশনে তুলে ধরে পরিস্কার করেছিলেন জিয়াউর রহমান ছিলেন সেদিনের পরিকল্পনাকারী। সেদিনে হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের সন্তান।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে এসোসিয়েশেনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।