মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার জনগণের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। মানুষ খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে। কিন্তু এতে সরকার কোন কর্ণপাত করছে না। একদিন এই সরকারকে এইসবের জন্য জবাব দিতেই হবে। আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দলের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা যে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করলাম। আজকে সেই দেশে একমাত্র যুবক ছেলেরা রাজনীতি করার কারণে তারা গুম হয়ে যাচ্ছে। তাদের পরিবার জানেনা।
তারা কোথায় আছে কি করছে। ছোট্ট শিশু সন্তানরা জানেনা তাদের বাবারা কোথায় আছেন। তাদের পরিবারের লোকেরা এখনও ভাবছেন এ বোধহয় বাসায় ফিরবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, এই যে রাষ্ট্র, এই যে সরকার। যারা দাবি করে যে তারা জনগণের প্রতিনিধি, তারা শুধুমাত্র শক্তি দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের উপর নির্যাতন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। আজকে যে ঘটনাগুলো ঘটছে এইসব ঘটনাগুলো আমরা আগে কখনোই জানতাম না। ১৯৬০ সাল থেকে আমরা ছাত্র আন্দোলন করেছি, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা কখনো গুম হয়ে যাওয়ার খবর শুনিনি। গুম হয় লাতিন আমেরিকাতে। জাতিসংঘের চার্টার্ডে বলা হয়েছে এটা মানবতা বিরোধী অপরাধ। এই অপরাধ করে তারা আজকে সংগঠন করছে। কি আশ্চর্যের ব্যাপার তারা সবখানেই পার পেয়ে যাচ্ছে। দেশে ব্যারিস্টার নিখোঁজ হচ্ছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিখোঁজ হচ্ছে, ১৭ মাস নিখোঁজ হওয়ার পর বাসায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে একজন অ্যাম্বসেডার কে।
তিনি আরো বলেন, এগুলো একমাত্র তখনই সম্ভব। যখন জনগণের কাছে সরকারের কোন জবাবদিহিতা থাকেনা। কোন দায় থাকে না। কিন্তু একদিন না একদিন তাদের এই জবাব দিতেই হবে। এটার জবাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার বিচার কিন্তু এর পরবর্তী সময়ে হয়েছে। সুতরাং এখান থেকে পার পেয়ে যাবে সেটা আমরা মনে করি না। তবে আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে নিশ্চয়ই আমরা অবারকাম করতে পারবো। জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস সেটা অবশ্যই সফল হবে।