ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের একাধিক বাসিন্দাকে আটক এবং এলাকাজুড়ে দীর্ঘ দিন ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র। এদিন দিল্লিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলা, এবং আক্রান্তদের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা।’ ভারতীয় মিডিয়ায় এটাকে কাশ্মিরের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
এদিনের বিবৃতিতে মার্কিন মুখপাত্র পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে সতর্ক করেছেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকুক এবং সীমান্ত অতিক্রম করে সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ বন্ধ করা হোক।’
টাইমস অব ইন্ডিয়া গ্রুপের এই সমযে বলা হয়, মাত্র তিন দিন আগে ফ্রান্সের বিয়ারিৎজে জি ৭ সম্মেলনের ফাঁকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মিরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে ট্রাম্পকে মোদি বোঝান, ১৯৪৭ সালের আগে ভারত ও পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র ছিল এবং তাদের মধ্যে যাবতীয় বিষয় দ্বিপক্ষীয় হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এর মধ্যে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ খারিজ করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
আলোচনার শেষে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী সত্যিই মনে করেন যে, পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান, দুজনের সঙ্গেই আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক, আর আমি তো আছিই। মনে হয় তারা বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিতে পারবেন।’
ভারত ও আমেরিকার দুই রাষ্ট্রনেতার এ হেন বিবৃতি সত্ত্বেও এদিন মার্কিন স্বরাষ্ট্র দফতরের বক্তব্যে কাশ্মির ইস্যুতে মার্কিনি হস্তক্ষেপের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, যা নিয়ে ভারতের কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।