অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘অর্থনীতির মৌলিক এলাকা হচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারকে আমরা অবহেলা করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। এ বাজারে যাঁরা আসেন, তাঁরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে আমরাও সতর্ক। আর বৈঠকে সবাই একমত হয়েছেন যে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া সামনে এগোনো যাবে না।’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে আজ সোমবার ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়’ শীর্ষক বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টার লম্বা বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি ভালো ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা হবে এবং বাজারে এলে কোম্পানিগুলো যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সে ব্যবস্থাও করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সি কিউ কে মুশতাক আহমেদসহ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেশি কিছু আশা করি না। আমাদের অর্থনীতি যতটা গতিশীল, পুঁজিবাজারকে ততটা গতিশীল হিসেবে দেখতে চাই। এ বাজারে বিশ্বাস-অবিশ্বাস আছে যে কয়েকটি কারণে এগুলো দূর করতে হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করে বাজারের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।’
এখন থেকে আর কেউ অপবাদ দিতে পারবেন না যে সরকার ন্যায়বিচার করে না অথবা কারোর প্রতি দুর্বল, এমন মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে যিনি অপরাধ করবেন, তিনি যেই হোন না কেন, তাঁকে আইনের আওতায় আসতে হবে।
যথাযথ মূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনা ও সুশাসন বজায়ের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।