অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ জড়িত বা সহযোগিতা করেছে এমন তথ্য পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে বুধবার অবৈধভাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর দায়ে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে গুলি ও একটি অবৈধসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নগরীর ফকিরাপুলের ইয়ংম্যান’স ক্লাবেরও প্রেসিডেন্ট। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করার পর খালিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই গতকাল অবৈধ ক্যাসিনোগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। শুধু ক্যাসিনোতে নয়, সকল অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ ক্লাবে অভিযান চলবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় অনেকদিন ধরে কতগুলো ক্যাসিনো চলছে। ক্যাসিনোর কোনো লাইসেন্স আমরা দেইনি। ক্যাসিনো দিতে হলে সরকারের অনুমতি লাগে। এজন্য অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে কলাবাগান ক্লাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল। আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।
এসব অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে সরকার দলীয় প্রভাবশালীরাই জড়িত এমন অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে কারা জড়িত। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশাসন এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি কেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তার নিজস্ব বক্তব্য।’
ঢাকা দক্ষিণে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের একটি টর্চার সেল পাওয়া গেছে। যেখানে বিভিন্ন লোকদের নির্যাতন করতো বলে পুলিশ বলেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’