রাজধানী মতিঝিল এলাকার চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় সেখান থেকে জুয়া খেলার বিপুল পরিমান সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেল ৩টা থেকে আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়া ক্লাবে অভিযান শুরু হয় এবং এ অভিযান চলে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলি নোমান বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। তবে সেখান থেকে ক্যাসিনো পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা গেলেও এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযানের খবর শুনে সবাই পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অভিযানের শুরুতে দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে পৌঁছলে দেখা যায় সেখানে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা। অন্ধকারে সবকিছু দেখা যাচ্ছিল না। তবে সেখানে ক্যাসিনো চলে সেটা বোঝা যাচ্ছিল। এসব জুয়া ও ক্যাসিনো পরিচালনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গুলশানের নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত)।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে র্যাবের অভিযান পরিচালিত হয়। ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে সাত প্যাকেট ইয়াবা ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।