একদিকে মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আসছে; অন্যদিকে সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সুতরাং, পেঁয়াজ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দিন আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, মিশর থেকে দুটি পেঁয়াজবাহী জাহাজ বন্দরে এসে পৌঁছেছে। তুরস্ক থেকেও আসছে পেঁয়াজ। অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে যেমন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, আসছে বর্ডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমেও।
পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, মজুত না রেখে বাজারে ছাড়ুন—ব্যবসায়ীদের প্রতি এমন আহবান জানিয়ে বাণিজ্যসচিব বলেন, ঢাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ৩৫টি ট্রাকে করে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ ছাড়া টিসিবির ডিলারেরা চট্টগ্রামে ১০টি স্থানে এবং ছয় বিভাগীয় শহরের পাঁচটি করে স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি করবেন।
সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ উৎপাদনশীল এলাকা পাবনা, ফরিদপুর এবং উত্তরবঙ্গে ১০ জন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ১০টি দল আজই মাঠে নেমেছে বলে জানান বাণিজ্যসচিব। অসৎ উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ মজুতদারির ঠেকাতে দলগুলো তদারক করবে।