বৃটেনের পাসপোর্ট বহন করছে এমন সাবেক জিহাদি, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিপুল সংখ্যা প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংখ্যা ৬০০। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে তাদেরকে সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাক বৃটেন। সিরিয়ায় আইসিস বা আইএস যোদ্ধাদের খেলাফত আন্দোলন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর তাদেরকে ফেরত নেয়ার জন্য লন্ডনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বলা হচ্ছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে জেল দেয়ার জন্য। তবে সম্প্রতি এই দাবি আরো জোরালো করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি শুধু জিহাদি বা জঙ্গিদের ফেরত নেয়া নয়, একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও ফেরত নিতে বলছেন বৃটেনকে। এ খবর দিয়ে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বলছে, সিরিয়ায় বিস্তৃত আইসিসের জন্য বিশাল শরণার্থী ক্যাম্পগুলো বন্ধ করে দিতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
একই সঙ্গে দেশে গিয়ে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক চালাক জঙ্গিরা এটাও চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
সপ্তাহান্তের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি নিয়ে বৃটিশ মন্ত্রীপরিষদের মধ্যে তিক্ত বিতর্ক হয়েছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে বসেছিলেন তারা। সেখানে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব যুক্তরাষ্ট্রের দাবির প্রতি সমর্থন জানান। ৬০০ আইসিস যোদ্ধা বা তাদের পরিবারকে বৃটেনে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান তিনিও। বৃটিশ ওই পত্রিকাটি বলছে, তাকে এক্ষেত্রে সমর্থন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এবং অন্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধানরা। তারা বলেছেন, একবার এসব জঙ্গিকে বৃটেনে ফেরত আনার পর তাদের ওপর নজরদারি করা বেশি সুবিধাজনক হবে।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল মন্ত্রীপরিষদে এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি চান ওইসব অঞ্চলেই বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও আদালত গঠন করে তারাই এসব বিষয় মোকাবিলা করুক। সরকারের একজন সিনিয়র সূত্র বলেছেন, এখনও প্রচুর মানুষ অত্যন্ত বিপদের মধ্যে আছেন। কারণ, বৃটেনে এখনও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটি ঝুঁকি আছে। তিনি বলেন, এসব জঙ্গি যদি দেশে ফিরে আসেন তাহলে তাদেরকে নিয়ে আমরা কি করবো এবং তাদেরকে রাখবো কোথায়? এতে কত খরচ পড়বে? তাদেরকে ফেরত আনার এ দাবি খুব জনপ্রিয়তা পাবে না। উল্লেখ্য, কমপক্ষে ৯০০ বৃটিশ নাগরিক দেশ ছেড়ে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য।