লোহিত সাগরের সৌদি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে একটি ইরানী ট্যাংকার। এর মধ্যে একটি ট্যাংকারে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার ভোর ৫:০০টা ও ৫:২০ মিনিটে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ট্যাংকারে আঘাত হানে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নৌযানটির অন্তত দুটি ট্যাংক। এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা।
হামলার শিকার হওয়া ট্যাংকারটি ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ইরানিয়ান ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি’র মালিকানাধীন। প্রতিষ্ঠানটিকে উদ্ধৃত করে ইরনা জানিয়েছে, সৌদি আরবের জেদ্দা শহর থেকে ৬০ মাইল দূরে অবস্থানরত অবস্থায় হামলা হয় ট্যাংকারগুলোতে। তবে হামলায় ট্যাংকারটির কোনো কর্মী হতাহত হয়নি।
নৌযানটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। কিন্তু দুটি ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্যাংকারটি থেকে সমুদ্রে তেল পড়ছে। ইরানী বার্তা সংস্থা ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জানিয়েছে, কারিগরী বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণের কারণটি খতিয়ে দেখছে।
সম্প্রতি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা ধারণ করেছে। ইরান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এ বছর হামলার শিকার হয়েছে অন্তত চারটি সৌদি ট্যাংকার। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওইসব হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে ইরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এছাড়া, গত মাসে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রধান তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। কিন্তু সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এই হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরান অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।