প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে চায় এবং এগুলোতে কোনো ধরনের অন্যায় ও অবিচারমূলক কাজ সহ্য করা হবে না।
‘আমাদের কথা খুবই পরিষ্কার। কোনো অন্যায়-অবিচার আমরা সহ্য করব না, আগেও করি নাই এবং ভবিষ্যতেও করব না। যারাই করুক, সে যেই অপরাধী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার পরিবেশ রাখতে হবে,’ সতর্ক করেন তিনি ।
শনিবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি খুন হওয়া আবরার হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার খুনিকে খুনি হিসেবে ও অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবে দেখে। আমি খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছি।
বুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার পরও তাদের আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের সাথে করা সমঝোতা স্মারকের যারা বিরোধিতা করছেন তাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই কেবল দেশের স্বার্থ রক্ষা করেছে। কয়েকটি স্বার্থন্বেষী মহল বিশেষ করে এলপিজি ও নয়াদিল্লির সাথে পানি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার জন্য সরকারের সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ কেবল আমদানি করা এলপিজি ভারতে রপ্তানি করবে।
১৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফেনী নদীর পানি বণ্টনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে থাকা এ নদীর পানির ব্যবহারে দুদেশের সমান অধিকার আছে। এর মধ্যে এ নদীর ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ফেনী, সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া জুড়ে রয়েছে।
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বেগম রওশান জাহান সাথির সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুন নাহার ভূঁইয়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ২০০৪ সালের ২৯ মার্চ মহিলা শ্রমিক লীগের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
সূত্র : ইউএনবি