কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার শেষ কার্ডটি খেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, মোদির ওই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরি জনতা মেনে নেবে না। ইমরান খান রাজধানী ইসলামাবাদে কাশ্মীরি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত শুক্রবারের এক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদি একটি ভুল করে ফেলেছেন। তিনি ভেবেছেন, দখলীকৃত কাশ্মীরি জনতা তার সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। কিন্তু তিনি জানেন না, গত কয়েকটি দশক ধরে কাশ্মীরি জনতা কি দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের সেই দুর্ভোগ কাশ্মীরিদের মধ্য থেকে মৃত্যু আতঙ্ক মুছে দিয়েছে। তার ওই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের লাখ লাখ মানুষ গ্রহণ করবেন না।
কারফিউ প্রত্যাহার করলেই তারা বেরিয়ে পড়বেন এর প্রতিবাদে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
শুক্রবারের ওই মানববন্ধনে ইমরান খান আরো বলেন, কাশ্মীরি জনগণের কাছে একটি বার্তা দিতে এই মানববন্ধন। তা হলো, কাশ্মীরিদের পাশে আছে পাকিস্তান। ইমরান খানের ভাষায়, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অব্যাহতভাবে স্মরণ করিয়ে দেবো যে, কাশ্মীরের ৮০ লাখ মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। এ সময় তিনি হংকংয়ের বিক্ষোভ নিয়ে একের পর এক কভারেজ দেয়া এবং সেই তুলনায় কাশ্মীরের জনগণের বিষয়ে নীরবতা বজায় রাখায় অনুশোচনা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রতি। ইমরান খান বলেন, আমি এই ইস্যুটা জোর দিয়ে তুলে ধরতে চাই যে, কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। অন্যদিকে হংকং চীনের অংশ। এ বিষয়ে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। কারণ, হংকং ইস্যুর তুলনায় কাশ্মীর ইস্যুতে যথেষ্ট কমই কভারেজ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন হলো কাশ্মীরি জনগণের মানবাধিকারের জন্য। এই আন্দোলন আল্লাহর ইচ্ছায় বিশাল আকার ধারণ করবে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ডি-চক থেকে রেডিও পাকিস্তান চক পর্যন্ত মানববন্ধনে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি। তারা দখলীকৃত কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিস অতিক্রম করে যায় এই মানববন্ধন। এতে যোগ দিয়ে ইমরান খান বক্তব্য রাখেন। এতে আরো যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফিরদৌস আশিক আওয়ান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিটি ফোরামে কাশ্মীরের মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।